শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৭ পূর্বাহ্ন

আপডেট
ময়মনসিংহে তরুনী হত্যার রহস্য উদঘাটন: আটক ৩

ময়মনসিংহে তরুনী হত্যার রহস্য উদঘাটন: আটক ৩

রেজাউল করিম রেজা,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহে কোতোয়ালী থানাধীন চর নিলক্ষীয়া উজানপাড়া সাকিনে তরুনী হত্যা ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিজ্ঞ আদালতে আসামীদের স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে বলে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন প্রতিদিনের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৪ জুন সকাল অনুমান ০৮:০০ ঘটিকার সময় ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন চর নিলক্ষীয়া উজানপাড়া সাকিনস্থ জনৈক রতন চেয়ারম্যানের শুকনা পুকুরের পশ্চিম পাশে গর্তের মাঝে অর্ধেক শরীর মাটি চাপা অবস্থায় রাজিয়া খাতুন (৩০) পিতা- মৃত তাহের মিস্ত্রি, মাতা- আম্বিয়া খাতুন, সাং- চরনিলক্ষীয়া উজানপাড়া, থানা- কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। উক্ত ঘটনায় মৃত রাজিয়া খাতুন (৩০) (মানসিক রোগী), মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার রুজু করা হয়।

থানা পুলিশ জানায় মামলাটি তদন্ত কালে জানা যায় যে, আসামী ১. মোঃ আল আমিন (২৫), পিতা- মজিবুর রহমান ওরফে মজি, মাতা- মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন, সাং- কোনাপাড়া কইট্রার মোড় সুরুজের বাড়ী, ২. রুহুল আমিন (২৬), পিতা- গোলাম হোসেন, মাতা- জোৎস্না বেগম, ৩. আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল (১৯), পিতা- সাইফুল ইসলাম, মাতা- জাহানারা, উভয় সাং- চরনিলক্ষীয়া সাথিয়াপাড়া বড়বাড়ী, সর্ব থানা- কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহ ইং-১২/০৬/২০২৪ তারিখ রাত অনুমান ০৯:০০ ঘটিকার সময় মৃত রাজিয়া খাতুন (৩০)কে চর নিলক্ষীয়া উজানপাড়া মাজার হইতে ডেকে নিয়ে মাজারে পাশে থাকা জনৈক রতন চেয়ারম্যানের শুকনা পুকুরের কাচারে নিয়া যায়।

প্রথমে আসামী রুহুল আমিন এবং আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল প্রথমে ভিকটিম রাজিয়া খাতুনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে বৃষ্টি আসায় তাহারা দুইজন মেয়েটিকে আসামী মোঃ আল আমিন এর সাথে মাজারে রেখে চলে যায়। পরবর্তীতে বৃষ্টি থামলে আসামী মোঃ আল আমিন পুনরায় ভিকটিম রাজিয়া খাতুনকে জনৈক রতন চেয়ারম্যানের শুকনা পুকুরের কাচারে নিয়া যায় এবং ভিকটিম রাজিয়া খাতুনকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।

কিন্তু ভিকটিম রাজিয়া খাতুনকে আসামী মোঃ আল আমিন টানা হেচড়া করিয়া অনেক চেষ্টা করিয়াও ধর্ষন করিতে না পাড়ায় আসামী মোঃ আল আমিন ক্ষিপ্ত হইয়া ভিকটিম রাজিয়া খাতুনকে পুকুরে জমা থাকা পানিতে মাথা চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য পুকুরের মাঝে থাকা গর্তের ভিতর কাঁদা-মাটিতে চাপা দিয়া রেখে চলে যায়।

অতঃপর পুলিশ সুপার এর নির্দেশক্রমে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল এর তত্ত্ববধানে অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন এর দিক নির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) দেবাশীষ সাহা, এসআই(নিঃ) আল মামুন, এসআই (নিঃ) আনোয়ার হোসেন, এসআই (নিঃ) মনিতোষ মজুমদার, এএসআই (নিঃ) ফরহাদ হোসেন, এএসআই (নিঃ) মাসুম রানা গন অত্র থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত আসামী ১। মোঃ আল আমিন (২৫), পিতা- মজিবুর রহমান ওরফে মজি, মাতা- মোছাঃ আম্বিয়া খাতুন, সাং- কোনাপাড়া কইট্রার মোড় সুরুজের বাড়ী, ২। রুহুল আমিন (২৬), পিতা- গোলাম হোসেন, মাতা- জোৎস্না বেগম, ৩। আব্দুল্লাহ ওরফে জাকিরুল (১৯), পিতা- সাইফুল ইসলাম, মাতা- জাহানারা, উভয় সাং- চরনিলক্ষীয়া সাথিয়াপাড়া বড়বাড়ী, সর্ব থানা-কোতোয়ালী, জেলা- ময়মনসিংহদের তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে গ্রেফতার করেন। আসামীদের বিধি মোতাবেক বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করিলে আসামীগন নিজেদের দোষ স্বীকার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি প্রদান করেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |