শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন

আপডেট
তরুণ সমাজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো মাদক

তরুণ সমাজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো মাদক

সামাজিক ব্যাধির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাধি হলো মাদকাসক্তি। বর্তমানে তরুণ সমাজ নষ্ট হয়ে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হিসেবে মাদকাসক্তিকে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। তাই কিছু উপায় রয়েছে যা কি না আপনাকে মাদকাসক্তি থেকে পরিত্রাণে সহযোগিতা করবে। ইচ্ছাশক্তি : মাদকাসক্তি থেকে দূরে থাকার জন্য সবার আগে প্রয়োজন আপনার ইচ্ছাশক্তি। আপনি যদি আন্তরিকভাবে চান এই পথ থেকে দূরে থাকতে তাহলে এটা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া আপনার জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে।

সবার আগে মানসিক স্বাস্থের ওপর জোর দিন। মনস্থির করুন। মাদকাসক্তি দূর করতে এর কোনো বিকল্প নেই। মেডিটেশন বা ধ্যান : বিভিন্ন সময়ে মেডিটেশন আমাদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উন্নতি করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে কেউ যখন মাদক থেকে দূরে থাকতে চায় তখন তার মানসিক দিক দিয়ে বেশ দুর্বল হয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। বিষণ্ণতা, হতাশা দেখা দেয়। তাই এই সময়টাতে মেডিটেশন বা ধ্যান করে অনেকটা স্বাভাবিক থাকা সম্ভব। মাদকাসক্ত বন্ধুর থেকে দূরে থাকুন : যেসব বন্ধু মাদকাসক্ত তাদের কাছ থেকে দূরে থাকা খুব জরুরি।

নয়তো তাদের সাহচর্যে আবার আগের জীবনে ফিরে যেতে পারেন। হয়তো আপনি মাদকাসক্তি থেকে মুক্ত হয়েছেন বা হতে চাইছেন তখন আবার নতুন করে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে একদিনের জন্যও মাদকগ্রহণ না করা হয় সেই খেয়াল রাখুন। ইতিবাচক ও সৃষ্টিশীল কাজ : নিজেকে ব্যস্ত রাখুন সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে। এই সময়টাতে নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করুন। পরিবার ও প্রিয়জনের সঙ্গে বেশি বেশি সময় কাটান। খেলাধুলা করুন, বই পড়ুন, মজার মুভি দেখুন, ঘুরতে যান সবাই মিলে। পরিবারের কোনো স্বজন মাদকাসক্ত হয়ে উঠলে অনেক সময় অন্য সদস্যরা তাকে এড়িয়ে চলেন বা খারাপ ব্যবহার করেন। চিৎকার চেঁচামেচি বা মারধরও করতে দেখা যায় অনেককে। কিন্তু এসব ব্যবহার বরং উল্টো ফল বয়ে নিয়ে আসতে পারে। এ সময়টাতেই পরিবারের সহমর্মিতা তার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার। চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের আন্তরিকতা, ভালোবাসা, সুস্থ সুন্দর আনন্দময় পারিবারিক পরিবেশ তার ভুল পথ থেকে ফিরিয়ে আনতে পারে।

লেখক : মোঃ খায়রুল আলম রফিক সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক) কেন্দ্রীয় পরিষদ।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |