মোস্তফা কামাল : বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরীর অন্যতম কারখানা, নেতা তৈরীর ফ্যাক্টরি নয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শিক্ষকদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় সভায় চবি উপাচার্য এই মন্তব্য করেন। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ১১ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নবনিযুক্ত মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার, নবনিযুক্ত মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং নবনিযুক্ত মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন, বিভিন্ন অনুষদের নবনিযুক্ত ডিনবৃন্দ, সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, বরিষ্ঠ শিক্ষকবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের শিক্ষকবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, বৈষম্য বিরোধী গণআন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করেন এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। ‘নতুন বাংলাদেশ বির্নিমাণে শিক্ষাসহ সকল ক্ষেত্রে গঠনমূলক সংস্কার করার অভূতপূর্ব সুযোগ এসেছে। এ সুযোগকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। ‘বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে যোগ্য গ্র্যাজুয়েট তৈরীর অন্যতম কারখানা, নেতা তৈরীর ফ্যাক্টরি নয়।’ এ লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের যোগ্য, দক্ষ, প্রযুক্তিনির্ভর ও আদর্শিক গুণাবলীসম্পন্ন মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে শিক্ষকদের আন্তরিকভাবে ভূমিকা রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণভোমরা। তাই বর্তমান প্রশাসন একাডেমিক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইতোমধ্যে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় হলসমূহের কিছু কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর শীঘ্রই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বশরীরে শ্রেণি কক্ষে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নবনিযুক্ত মাননীয় উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান এবং নবনিযুক্ত মাননীয় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ কামাল উদ্দিন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।