শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন

আপডেট
মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত এলাকা হবে টঙ্গী এরশাদ নগর : বিপ্লব সরকার

মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত এলাকা হবে টঙ্গী এরশাদ নগর : বিপ্লব সরকার

আশিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার : মাদক শুধু একজন মানুষকে নয়, একটা পরিবারকেও ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। সন্ত্রাস জনমনে আতংক সৃষ্টি করে, মানুষের অার্থিক শারীরিক মানসিক ও রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধন করে। মাদক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি ও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মাদক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজমুক্ত এলাকা হবে টঙ্গী এরশাদ নগর।শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জুমার নামাজের পর টঙ্গী এরশাদ নগর ৪৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বৃহত্তর টঙ্গী থানা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক যুবদল নেতা কামরুল ইসলাম কামুর সভাপতিত্বে ও ৪৯ নং ওয়ার্ড সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল চৌধুরীর সঞ্চালনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।তিনি আরও বলেন, আমার পিতা বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হাসান উদ্দিন সরকার টঙ্গী এরশাদ নগরের প্রতিটি মানুষকে মনে প্রানে ভালবাসেন। তিনি চান এ এরশাদ নগর এক সময় উত্তরার মত হবে। উত্তরার মত সকল নাগরিক সুযোগসুবিধা এরশাদ নগরবাসী পাবে। আর এ জন্য সবাইকে একজোট একপ্রান হয়ে মাঠে কাজ করতে হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করে আগামী নির্বাচনে তাকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসাতে হবে। আমরা জানি এরশাদ নগর এলাকা বিএনপির ভোট ব্যাংক। তাই আপনাদের সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমাদের প্রতিনিধি আপনাদের এলাকার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম কামুর নেতৃত্বে আপনারা এরশাদ নগরবাসি দলের জন্য একজোট হয়ে কাজ করবেন ইনশাআল্লাহ।

অনুষ্ঠানে সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আপনারা অবশ্যই অবগত আছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ যুবলীগের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল জলিল ওরফে জলিল গাজী ও শফিকুল ওরফে হাতকাটা শফিককে দিয়ে তিনি এরশাদনগরকে মাদককারবারি ও সকল কিসিমের সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিলেন। তাদের মাদক কারবারসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে এলাকাবাসী ছিলেন জিম্মি। আমি অভিবক্ত টঙ্গী থানা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে এই আওয়ামী সন্ত্রাসীদের জিম্মিদশা থেকে এলাকাবাসীকে উদ্ধারের জন্য বহু সংগ্রাম করেছি। এ কারণেই আমাকে একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় জেলে রেখে তারা নির্বিঘ্নে বিগত দিনে এরশাদনগরে ত্রাসের রাজ্বত্ব কায়েম করতে পেরেছিল। বিগত ২০১৬ সাল থেকে টানা প্রায় ৯ বছর আমি স্বৈরাচার সরকারের কারাগারে বন্দী ছিলাম। সম্প্রতি আমি জামিনে জেল থেকে মুক্তিলাভ করে এরশাদনগরকে মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি। আমি নিজে গত এক মাসে ৫০ জনেরও বেশি ছিনতাইকারী ধরেছি। তাদের উত্তমমধ্যম দিয়ে ছেড়ে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসনকে খবর দিয়েছি।

কিন্তু বর্তমানে প্রশাসনিক ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় তারা আসতে পারেনি। আপনারা এখানে সাংবাদিক ভাইয়েরা আছেন আপনাদের কাছে অনুরোধ প্রশাসনকে বলবেন তারা যেন ফোন করলে সাথে সাথে আসে। এলাকায় যারা মাদকবিক্রি করত তাদের হুঁশিয়ার করে বলে দিয়েছি আামাদের এরশাদ নগর এলাকায় কোন মাদক চলবেনা। আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও প্রিয় এরশাদনগরকে সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত করে ছাড়বো ইনশা আল্লাহ। আপনারা জানেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী যুবলীগ নেতা জলিল গাজী এরশাদ নগর পূর্ণবাসন এলাকার একজন বাসিন্দা হয়েও বিগত ১৬ বছরে কয়েকশ’ কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে গিয়েছে। মাদকের টাকায় এরশাদ নগরের বাহিরেও জায়গা জমি কিনেছে। আর আমি একটি ভাঙ্গা টিনের বাসায় থাকি। আমার এত সম্পদের লোভ নেই আমি আপনাদের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চাই। আমার জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে কারও কারও গাঁ চুলকাচ্ছে। আমার নেতা হাসানউদ্দিন সরকার তার দিকনির্দেশনায় আমি ৪৯ নং ওয়ার্ডকে একটি আদর্শ ওয়ার্ড গড়ে তুলার স্বপ্ন দেখি। আমি আগামীতে ৪৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে চাই, সেটাও অনেকে মেনে নিতে পারছেনা। আমি কাউন্সিলর যদি নাও হই তবুও ৪৯ নং ওয়ার্ডবাসির পাশে আছি থাকব। আমি বিএনপির একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে জনগণের সেবা করে যাবো। এলাকা থেকে মাদক সন্ত্রাস দুর করব ইনশাআল্লাহ। আলোচনাসভা শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব হাসান উদ্দিন সরকারের বড় ছেলে বিপ্লব সরকার, হাসান উদ্দিন সরকারের পিএস জনি, মজিবর মাস্টার সাবেক আহবায়ক সদস্য টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি,গাসিক সংরক্ষিত ৪৯,৫০,৫১ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর শিলিনা কাদের,
সোহেল চৌধুরী সাবেক আহবায়ক সদস্য টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি, মিরাজ মিয়া যুগ্ম সম্পাদক টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি, শার্জাহান মিয়া সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক ৪৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি, আলাউদ্দিন মিয়া মহানগর যুবদল এর সাবেক সদস্য, যুবদল নেতা কৃষক মনির, আলাউদ্দিন, আশেক আলী, রমিজ, মিরাজ, স্বপন, নাসির উদ্দীন, মামুন, সোহান, মনসুর মিয়া ২ নং ইউনিট কমিটির সাধারণ সম্পাদক টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপি, জলিল মিয়া আহবায়ক সদস্য টঙ্গী পূর্ব থানা স্বেচ্ছাসেবক দল, জাহানারা জানু সদস্য মহানগর মহিলা দল, লায়লী বেগম ৪৯ নং ওয়ার্ড মহিলা দল, পেয়ারা বেগম ৪৯ নং ওয়ার্ড মহিলা দল টঙ্গী এরশাদ নগর ৪৯ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী, প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |