শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন
মোঃ রায়হান আলী, মান্দা: নওগাঁর মান্দায় কৃষি কর্মকর্তার দায়িত্বহীনতায় আগাম জাতের আইসবল শীতকালীন সবজি (ফুল কপি) চাষ করে চরম বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা। উপজেলার কুসুম্বা ইউপির হাজী গোবিন্দপুর বিলকরিল্লা সহ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে কৃষকরা কোন ভাবেই পচানী ও ঢলানীসহ রোগ প্রতিরোধে সুপরামর্শ বা কোন সহযোগিতা পাচ্ছেন না কৃষি অফিসের। এতে করে মাঠজুড়ে আগাম জাতের শীতকালীন সবজি (ফুল কপি) মরে সয়লাভ হয়ে যাচ্ছে। এনিয়ে মাথা ব্যাথা নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় কৃষি অফিসের। সরেজমিনে গেলে উপজেলার হাজিগবিন্দপুর সবজি মাঠে পচানী ও ঢলানী রোগের দৃশ্য দেখা যায়।
এসময় হাজিগবিন্দপুর বিলের কৃষক আজাদ হোসেন জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে একাধিকবার মোবাইল ফোনে ও সরাসরি যোগাযোগ করা হলেও তারা মাঠে আসেনি। ফসলের রোগের কথা শুনে বিভিন্ন কম্পানির নিম্নমানের ঔষধ লিখে দেয়। কিন্তু সেগুলো প্রয়োগ করে কোন কাজে আসে না। এমন দায় সারা পরামর্শের ওষুধ ব্যবহার করে শুধু অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। আজিজুল হক ও সুলতান আহমেদ নামের দুই কৃষক বলেন, উন্নত জাতের আইসবল জাতীয় ১০ গ্রাম বীজের দাম ১ হাজার থেকে ১২ শত টাকায় ক্রয় করতে হয়। ১ বিঘা মাটিতে উৎপাদন খরচ পড়ে গড়ে ৪০-৫০ হাজার টাকা। অথচ রোগের বিষয়ে কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের জানানো হলে তারা পরামর্শন দেননি।
এমনকি মাঠ ভিজিটও করেন নি। এ রোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিন ম্যাডামের কাছে গিয়েও কোন প্রতিকার বা সু পরামর্শ মেলেনি আমাদের। আমাদের ব্লকের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে ডেকেও পাওয়া যায় না। জানা গেছে ওই ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোজাফ্ফর হোসেন পরিবার নিয়ে রাজশাহী শহরে থাকেন আর একারণে মাঠে তেমন যেতে পারেননা তিনি। এসব তদারকির দ্বায়িত্বে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার থাকলেও তিনি নিজেও স্টেশনে না থাকার কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলার কৃষক। কৃষক ফারুক হোসেন মাষ্টার জানান, পচন ও ঢলানী রোগে মাঠ সয়লাভ হয়ে যাচ্ছে। লোকসানের প্রহর গুনছে কৃষকেরা।
অথচ নাকে তৈল দিয়ে ঘুমাচ্ছেন সরকারের নিয়োগ প্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তারা। তাদের দ্বায়িত্বহীনতায় আমাদের যা ক্ষতি হয়েছে তার দায় ভার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বহন করতে হবে। এ বিষয়ে মান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শায়লা শারমিনকে একাধির বার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জানা গেছে সরকারি ছুটির দিনে তিনি ফোন রিসিভ করেননা। এ বিষয়ে নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: আবুল কালাম আজাদকে জানালে তিনি বলেন,বিষয়টি আমি দেখছি। সেইসাথে মান্দা কৃষি কর্মকর্তাকেও আমি বলে দিচ্ছি।