মাহমুদ হাচান, শিশু সাংবাদিক: ডিজিটাল কনটেন্ট ব্যবহার করে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করার লক্ষ্যে ল্যাপটপ, প্রজেক্টর ও প্রয়োজনীয় জিনিস দিয়ে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার মটকপুর স্কুল এন্ড কলেজে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি করা হয়। কিন্তু কাগজে-কলমে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম থাকলেও, ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এমনকি অনেক শিক্ষার্থীরা জানেই না মাল্টিমিডিয়া কী?
স্কুল ঘুরে দেখা যায়, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে ষষ্ঠ শ্রেণির নিয়মিত ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ দিন থেকে নেওয়া হয় না মাল্টিমিডিয়া পাঠদান। তবে কতদিন থেকে মাল্টিমিডিয়া পাঠদান বন্ধ;এ ব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের কারো কথায় মিল পাওয়া যায়নি। প্রধান শিক্ষক বলছে এক বছর ধরে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস বন্ধ, আইসিটির শিক্ষক বলছে প্রায় ছয় মাস ধরে বন্ধ, আরেকজন সহকারী শিক্ষক বলছে আনুমানিক সাড়ে তিন মাস। এছাড়াও শিক্ষকরা সঠিক সময়ে ক্লাসে উপস্থিত থাকে না। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফুটবল খেলতে দেখা যায়।
সজিব ইসলাম নামে একজন শিক্ষার্থী জানায় – আমাদের মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে নিয়মিত ক্লাস করছি। কিন্তু আমরা জানি না, মাল্টিমিডিয়া কি? শিক্ষকরাও কোনো দিন মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কে আমাদের কোনো জানায়নি। জিসান ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী জানায় – মাল্টিমিডিয়া সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। স্কুলে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমের ব্যবস্থা থাকলেও আমাদের কোনোদিন মাল্টিমিডিয়া ক্লাস হয়নি। ফলে আমরা আধুনিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়ে আছি। মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম বন্ধ রেখে ষষ্ঠ শ্রেণির পাঠদানের করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে বলে জানান, মটকপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছাঃ ইসমত আরা।
তিনি আরো জানান – স্কুলের প্রজেক্টর এলাকার বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করার ফলে নষ্ট হয়ে যায়। প্রজেক্ট নষ্ট হওয়ার কারণে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম বন্ধ আছে। প্রজেক্টর ঠিক করতে দেওয়া হয়েছে। মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পাঠদান বন্ধ থাকার কারণে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ক্লাসে পড়ানো হচ্ছে।এবিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অবগত করেছি।তবে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পাঠদান বন্ধ রেখে ওই ক্লাসে ষষ্ঠ শ্রেণি পাঠদান করার বিষয়ে অবগত নয় বলে জানায়, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাকেরিনা বেগম। তিনি আরো জানান- মাল্টিমিডিয়া পাঠদান বন্ধ, এবিষয়ে আমার জানা ছিলো না। স্কুল থেকে আমাদের মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। ওই স্কুলে অনিয়মিত ক্লাস, অতিরিক্ত পরীক্ষা ফ্রি নেওয়া সহ একাধিক অনিময় আছে। কয়েকমাস আগে স্কুলে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব মনিটরিং করে,ব্যবস্থা গ্ৰহণ করবো।