শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন

আপডেট
তেঁতুলিয়া নদীর বেদে সম্প্রদায় জীবনযাত্রায় উন্নয়নেরছোঁয়া লাগেনি

তেঁতুলিয়া নদীর বেদে সম্প্রদায় জীবনযাত্রায় উন্নয়নেরছোঁয়া লাগেনি

সাইফুল ইসলাম, বাউফল: পটুয়াখালী বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের তেঁতুলিয়া নদী কুলে বসবাস করছে ভাসমান জেলে বেদে সম্প্রদায়। শতাধিক নৌকায় প্রায় সহস্রাধিক মানুষের পানি বসতি। পেশা নদীতে মাছ ধরা। আধুনিক প্রযুক্তির যুগ। উন্নয়নের ছোয়ার বাইরে রয়েছে বেদে সম্প্রদায়। খোজ নিয়ে জানাগেছে, দক্ষিণাঞ্চলের উপকুলীয় এলাকায় তেতুঁলিয়া নদীতে স্বাধীনতার পর থেকেই বেদে সম্প্রদায় বাস করছে। পেশা হচ্ছে, সারাদিন নদীর মধ্যে মাছ ধরা। সন্ধার পুর্বে কালাইয়া বন্দরের পাশে এসে নৌকার পাড়ি জমানো। নেই নাগরিকতার ভোটার অধিকার। ভোটের সময় আন্ত ুইউনিয়ন (নাজিরপুর-কালাইয়া) সীমানা বিরোধ কারনে ভোটার হতে পারে নি।

উপজেলার কালাইয়া ও নাজিরপুর ইউনিয়ন মধ্যেবতী হচ্ছে তেঁতুলিয়া নদীর পাড় সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রায় অর্ধশত নৌকার বহরে ২৫০ জন বাসিন্দা রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধশত শিশু কোনো স্কুলে ভর্তি হতে পারেনি। দেখাগেছে, প্রতিটি নৌকার স্বামী ও স্ত্রী দু জনেই মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত। স্যানিটেশন অবস্থা নাজুক। নৌকার ঢালিকে বসে প্রাকৃতিক কাজটি সম্পন্ন করেন। আবার ওই নদীর পানি দিয়েই রান্না বান্না সহ সকল কাজ করেন। সরেজমিন চিত্রে দেখা গেছে, বেদে সম্প্রদায় মধ্যে রয়েছে ইউনিটি। নেতার ছাড়া কথা বলতে নারাজ। বেদে সম্প্রদায় ককেজ জানান,তাদের ভিতর দাম্পত্য জীবন নিয়ে কোনো ঝগরা বিবাদ বা কলহ বাদলে নেতার স্বরনা পন্ন হয়। তাদের মধ্যে বেশিরভাই মুসলমান দাবী করেন। তবে তাদের বিবাহ কার্যটি তাদের মধ্যেই থেকেই করে থাকে। বাল্যবিবাহ আইন সর্ম্পকে তারা বেশি সচেতন না। ১২ বছর পা দেয়ার সাথে সাথেই ছেলে মেয়ের বিবাহ হয়ে যায়। বিবাহ বছর শেষ হতে না হতেই নব দম্পতির কুল জুড়ে আসে নতুন শিশু। এটাই তাদের বিনোদন একমাত্র মাধ্যম।

বেদে সম্প্রদায় আয় ব্যয় সর্ম্পকে জানতে চাইলে উপস্থিত কয়েকজন প্রতিদিনের কাগজকে বলেন, কোনো আয় ব্যয় বুঝি না। মাছ ধরি বিক্রি করি। বাজার সদায় করে খেয়ে ফেলি। ঋন সর্ম্পকে জানা যায়, মেইন ল্যান্ড বন্দর কোনো ব্যক্তি তাদের ধার দেয় না। নৌকার বহরের নিজেদের মধ্যে ধার-দেনা করতে হয়। মৃত্যু ব্যক্তির দাফন সর্ম্পকে জানতে চাইলে মুখ আড়াল করে প্রতিনিধিকে বলেন, মাটি নেই দাফন করব কোথায় তাই নদীর পাড়ে কোপে রাখতে হয়। ধান কাটা মৌসুমে তাদের নৌকার বহর সংখ্যা বৃদ্ধি পায় অন্যান্য এলাকা থেকে কালাইয়া বন্দরে এসে যোগ দেয়।

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, হতোদরিদ্র প্রান্তিক পেশাজীবীর উন্নয়ন জন্য বেসরকারি সংস্থা কাজ করার লক্ষ্য উদ্দেশ্য থাকলেও তারা প্রদর্শনীয় হিসাবে উপজেলার সদর এলাকায় কাজ করে থাকে। দাতা সংস্থার কোটি কোটি টাকা খরচ করার জন্য প্রশিক্ষন,সেমিনার সভা সমাবেশ, ক্রসলার্নিং ভিজিট কর্মসূচী মধ্যে দিয়ে বছর শেষ করেন। পক্ষান্তরে দরিদ্র মানুষকে উন্নয়নের কথা বলে নিজেদের কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যস্ত থাকে। উপজেলার সদরের জাতীয় পর্যায়ে একাধিক এনজিও থাকলেও বেদে সম্প্রদায় নিয়ে তাদেও কোনো পরিকল্পনা নেই। একাধিকসূত্রে জানাগেছে, বাউফলের তেঁতুলিয়া নদীর পাড়ে বেদে সম্প্রদায় মতো কলাপাড়া, গলাচিপা, পটুয়াখালী জেলার লোহালিয়া নদীর মধ্যে বেদে সম্প্রদায় আছে। দ¶িণাঞ্চলে কালাইয়া বন্দর। ঢাকা থেকে আসা যাওয়া যাত্রাপতিকদের দেখার নিদর্শন এ বেদে সম্প্রদায়। নারী পুরুষ একসাথে কাজ করছে। রান্নাবান্নাসহ সম্পুন্ন নদীর মধ্যে। বিনোদন বলতে প্রায় নৌকায় রেডিও ও ট্যাপ শোনা। আর্থিক স্বচ্ছল ২/১ টি নৌকায় সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে টিভি দেখা যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |