শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: হামাসের শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে হত্যার ড্রোন ভিডিও প্রকাশ করেছে ইসরায়েল। এতে দেখা যায়, নিহত হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে একটি লাঠির মতো বস্তু ছুড়ে মারছেন তিনি। জেরুজালেম পোস্ট আজ এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। ভিডিও ফুটেজে সিনওয়ারকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা গেছে। তিনি একটি কক্ষে চেয়ারে বসে ছিলেন। সারা শরীরে ধুলো। পুরো কক্ষজুড়ে নির্মাণাধীন সামগ্রীর ছড়াছড়ি। এ সময় তাঁর দিকে ড্রোন ধেয়ে আসছে দেখে তিনি একটি লাঠি ছুড়ে মারেন। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেন। এরপর তিনি সিনওয়ারের নিহত হওয়ার বিষয়ে বিবৃতি দেন।
হাগারি বলেন, ‘আমাদের ব্রিগেডের একটি ইউনিট বুধবার রাফাহ অঞ্চলের তাল আল-সুলতানে টহল দিচ্ছিল। তারা জানত না যে, হামাস নেতা সেখানে আছেন। আমরা অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি। ইয়াহিয়া হিসেবে চিহ্নিত ওই ব্যক্তি একটি ভবনের মধ্যে একাই দৌড়ে গিয়েছিলেন। বোঝা যায়, তিনি সরে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।’ ভিডিওটি দেখানোর পর হ্যাগারি ব্যাখ্যা দেন, আমরা তাকে ভবনের ভেতর অবস্থানরত জঙ্গি সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করি। তারপর তাকে খুঁজে বের করার প্রথম ধাপ হিসেবে সেনারা ভবনের উদ্দেশে গুলি চালান। তারপর তারা ভেতর প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে সেনারা সিনওয়ারকে খুঁজে পান। তখন তার গায়ে একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, সঙ্গে একটি পিস্তল ও ৪০ হাজার শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) ছিল। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে আমাদের সেনারা তাকে হত্যা করে।’
গত বছরের ৭ অক্টোবার ইসরায়েলে হামাস হামলা চালালে ১২০০ মানুষের প্রাণ যায়। এর পর থেকেই ওই হত্যাকাণ্ডের জন্য ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে প্রধান টার্গেট করেছিল ইসরায়েল। ইয়াহিয়ার মৃত্যু হয়েছে শেষ পর্যন্ত। তবে তাঁর মৃত্যুতেও গাজা যুদ্ধ শেষ হবে না বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলর প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গত বছর ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী ছিলেন ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ৭ অক্টোবরের ওই হামলার পর গাজায় অভিযানের নামে নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত আগস্টে ইরানের তেহরানে হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার পর হামাসের নেতা হন ইয়াহিয়া সিনওয়ার।