বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৪৮ অপরাহ্ন
আবুল হাসনাত মিনহাজ: চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দার বাড়ি জামে মসজিদ এর বিপরীত পাশে পুকুর পাড়স্থ অস্থায়ী বাজারে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় সর্বসাধারণের জন্য সূলভ মূল্য নিত্য প্রয়োজনীয় শাকসবজি বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।এই কার্যক্রম মঙ্গলবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলে এবং দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবার ও চলে এই সবজি বিক্রি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সবজির বাজারে আগুন, নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে, এমন পরিস্থিতিতে শামসুল হক ফাউন্ডেশনের এই ক্রয়মূল্য সবজি বিক্রি করে সাধারণ মানুষের প্রশাংসায় ভাসছেন এই ফাউন্ডেশন।
চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে আগাম শীতের সবজি আমদানি হলেও কমছে না দাম। ফলে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ। লাগাতার বৃষ্টি ও বন্যার কারণে ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় প্রভাব পড়েছে কাঁচা বাজারে। প্রতিটি সবজির দাম বেড়ে ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করছে ব্যবসয়াীরা। এমন পরিস্থিতিতে শামসুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সবজি বিক্রি হচ্ছে লাউ লাউ ১৭ টাকা,শসা/ফল-৪০ টাকা চিচিঙ্গা-৩৫ টাকা,মিষ্টি কুমড়া -৪৫ টাকা,২৫ টাকা,ক্ষীরা,৩০ টাকা,বরবটি 80 টাকা, তিত করলা ৪৫ টাকা আর-ও অনেক সবজি পাওয়া যাচ্ছে ক্রয়মূল্যে।
শামীম আহমেদ নামে এক চাকরিজীবী বাজার করতে এসে তিনি বলেন, ‘যেখানে বর্তমান দূর্মুল্যের বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল ক্রয় করতে হিমশিম খেতে হয়। সেখানে আলহাজ্ব শামসুল হক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে শাকসবজি সংগ্রহ করতে পেরে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।এই কাজটি আসলে প্রশাংসানীয়।
সবজি ক্রয় করতে আসা এক মহিলা বলেন,’ বর্তমান পরিস্থিতিতে এই রকম একটি উদ্যোগ প্রশাংসনীয়।আমাদের মতো যারা স্বামীর ১২ হাজার টাকা আয়ে পরিবার চলায়, তারা যানে বর্তমানে সংসার চালানো কতোটা কঠিন। এমন সময় আমাদের জন্য এটি অনেক বড় পাওয়া। বর্তমান সবজির বাজারে গিয়ে ৫০০ টাকায় কোন কিছু পাওয়া যায় না।বর্তমান বাজের সাথে এখানের দাম আকাশ পাতাল ব্যবধান রয়েছে। এইখানে যে সবজি গুলো ৪০ টাকার ভিতরে পাওয়া যায় তা বাজারে ৯০ টাকারও বেশি দামে বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা।’
উক্ত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলীরা মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেন, ‘ আমরা মঙ্গলবার থেকে এই কার্যক্রম শুরু করি।মঙ্গলবার প্রায় ৫ টনের মতো সবজি বিক্রি হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম চলমান থাকবে।বর্তমান বাজার ব্যবস্থার ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেক নাগরিক তাদের প্রয়োজনীয় শাকসবজি সংগ্রহ করতে পারছেন না। সবকিছু চিন্তা করে আমাদের ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাগণ এই মহৎ উদ্যোগটি গ্রহণ করেন।’