শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:২৬ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীতে ঝোড়ো হাওয়ায় নুয়ে পড়েছে ক্ষেতের ধান, দুশ্চিন্তায় কৃষক

নীলফামারীতে ঝোড়ো হাওয়ায় নুয়ে পড়েছে ক্ষেতের ধান, দুশ্চিন্তায় কৃষক

রাশেদুল ইসলাম আপেল, নীলফামারীঃ  ঝোড়ো বৃষ্টির প্রভাবে নীলফামারীর জেলার বেশকিছু জমির আমন ধান নুয়ে পড়েছে। আর অল্প কিছুদিন পরেই এসব ধান কেটে ঘরে তোলার কথা থাকলেও তার আগেই নুয়ে পড়া ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। তবে এতে তেমন ক্ষতির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে কৃষি অফিস। বৃহস্পতি ও শুক্রবার দুদিনে সকাল থেকে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। এই ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টির কারনে এলাকার বেশ কিছু জমির ধান গাছ হেলে মাটিতে পড়ে গেছে। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়ায় সেগুলো কেটে গরু-ছাগলের খাবার হিসেবে ব্যবহার করছে অনেকে।
নীলফামারীর টুপামারি এলাকার কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, দুদিনের ঝোড়ো বৃষ্টির কারনে এলাকায় অনেকের ধানের গাছ মাটিতে শুয়ে পড়েছে। আমার বাড়ির পাশে এবং বাড়ি থেকে একটু দূরে মোট দুই বিঘা জমির ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। রাজশাহী স্বর্ণ ধানের বিজ লাগিয়েছিলাম। এই ধানের বিজ গুলো অন্যান্য ধানের চেয়ে লম্বা হয়েছিলো তাই এগুলো বাতাসে পড়ে গেছে।  যেগুলো ধান মাটিতে পড়ে গেছে এগুলোর অবস্থা একেবারে শেষ।ডিমলা মধ্যম সুন্দরখাতা এলাকার কৃষক হাবিবুর রহমান বলেন, ঝোড়ো হাওয়ার কারনে আমাদের গ্রামের প্রায় ২৫ বিঘা জমির ধান নুয়ে পড়েছে। এ নিয়ে এলাকার কৃষকেরা বেশ চিহ্নিত। এখনো পর্যন্ত কৃষি অফিস থেকে কেউ নির্দেশনামূলক কিছু জানালো না।
ডোমার সদর ইউনিয়নের কৃষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমার দেড় বিঘা জমির ধান মাটিতে শুয়ে পড়েছে। আমাদের এলাকায় ঝোড়ো বৃষ্টির কারনে ৩০ বিঘা এর মতো জমির ধান সুয়ে পড়েছে। এর মধ্যে যেগুলো ধান গাছে শীষ হয়েছে সেগুলো থোকা করে বেধে দাড় করিয়ে দিলে ধান গুলো পাকার পর্যায়ে যেতে পারে। আর সুয়ে পড়া যেগুলো ধান গাছে ধান বের হয়নি এসব গাছে আর ধান হবার সম্ভাবনা নেই এগুলো কেটে গরু ছাগলকে খাওয়াতে হবে।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে উপপরিচালক ড. এস. এম. আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, জমির ধান হেলে পড়ার বিষয়ে আমরাও খোঁজ নিচ্ছি। তবে তার পরিমাণ এখনও নিরূপণ করা হয়নি। ঝড়ের কারনে জমির ধান হেলে পড়লেও সেটি উঠে যাবে। এতে ধানের ফলনে তেমন প্রভাব পড়বে না। বিগত কয়েক বছরের চেয়ে এবারের ফলন অনেক ভালো হবার সম্ভবনা দেখছি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |