বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা সংস্কার আন্দোলন বদলে দিয়েছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন। তুমুল ছাত্র আন্দোলনের মুখে টানা প্রায় ১৬ বছরের শাসক শেখ হাসিনাকে হারাতে হয়েছে ক্ষমতার মসনদ। ছাত্র-জনতার তোপের মুখে শেষ সময়ে সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা ব্যবস্থা চালু করতে বাধ্য হয় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। তবে সেই পদ্ধতিতেও সায় দেননি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। এখনো তারা কোটার যৌক্তিক সংস্কারের পথেই হাঁটছেন। হাসিনা সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। যদিও নতুন সরকার পুরোদমে এখনো সরকারি চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেনি। তবে সামনে ৪৭তম বিসিএসসহ বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ঘিরে আবারও আলোচনায় আসছে কোটা বণ্টন পদ্ধতি। আওয়ামী লীগ সরকারের রেখে যাওয়া ৭ শতাংশ কোটার বিধানই বহাল থাকবে নাকি তাতে পরিবর্তন আসবে; তা নিয়ে ভেতরে ভেতরে চলছে আলোচনা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা চান কোটার যৌক্তিক সংস্কার। সেক্ষেত্রে ৭ শতাংশের জায়গায় আরও কিছু বাড়ানোর পক্ষে তারা। পাশাপাশি নারী কোটা এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্যও কোটা রাখার পক্ষে সমন্বয়করা। তবে বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৫ শতাংশ থাকবে নাকি তা আরও কমবে—তা নিয়েও রয়েছে আলোচনা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, বিষয়টি নিয়ে এক দফা কিছুটা আলোচনা হয়েছে। তবে সেটা খুবই প্রাথমিক। যদি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অর্থাৎ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা বিষয়টি নিয়ে কোনো প্রস্তাব দেন, তা সরকার বিবেচনা করবে এবং দ্রুত বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।