বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৭ পূর্বাহ্ন

কেশবপুরে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ

কেশবপুরে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ

হারুনার রশীদ বুলবুল, কেশবপুর (যশোর):  কেশবপুর গবাদিপশুর ল্যাম্পি স্কিন রোগ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিনিয়ত কৃষকদের গবাদিপশু মারা যাচ্ছে। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকেরা।

কেশবপুর একটি পৌরসভাসহ ১১ টি ইউনিয়নেই গরুর লাম্পি স্কিন ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত এ ভাইরাস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে গবাদিপশু। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গরু মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ রোগ এতোটাই ভয়াবহ যে কোনো ওষুধ কাজ করছে না। সুস্থ গরু গুলো হঠাৎ করেই এ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।

এর ফলে গরুর সারা শরীর গুটিতে ফুলে উঠছে এবং ফুলে যাওয়া স্থানগুলো দু’এক দিনের মধ্যেই ফোস্কা পড়ছে ও ঘা হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বের হচ্ছে। অনেকে পল্লি চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী মলম, তেল, পাউডার জাতীয় কেন্ডুলা ব্যবহার করলেও ফল পাচ্ছেন না। আক্রান্ত গরু গুলোর বেশির ভাগই মারা যাচ্ছে। বিশেষ করে শংকর জাতের বকনা বাছুর গুলো এ রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে।

কেশবপুর ত্রিমোহিনীর মোসলেম উদ্দিনের পুত্র মাহবুবুর রহমান জানান, এ রোগে তারা ৮০ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি বকনা বাছুর মারা গেছে তার।

সেটির স্বাস্থ্য খুবই ভালো ছিল এবং আগামী ঈদে সেটি কমপক্ষে দেড় লাখ টাকা বিক্রি হত। এ ছাড়া সাগরদাঁড়ির মহিউদ্দীন , বাবুল , ও শামছুল আলমের গরুও এ রোগে মারা গেছে।

উপজেলার সর্বত্রই এ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সাথে কথা হলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগটি এখন কমেছে। এ রোগের চিকিৎসা শুধু মাত্র প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ। চামড়া উঠে যাওয়া ক্ষতস্থানগুলো শুকাতে একটু সময় লাগে। তিনি পরামর্শ দিয়ে বলেন, কোনো গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হলে গরুটিকে মশারীর ভিতর রাখা দরকার এবং গোয়াল ঘর পরিস্কার পরিছন্নতা রাখতে হবে। এই রোগটি মশা-মাছির মাধ্যমে ছড়ায়। প্রাণিসম্পদ অফিসার ডাঃ অলোকেশ ভট্টাচার্য আরো ও বলেন এই রোগের থেকে রক্ষা পেতে সব সময়ই গরুর মালিকদেরকে মশারির ব্যবহার এবং গোয়াল ঘর পরিষ্কার রাখার জন্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |