বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১২ অপরাহ্ন

রামুতে ইউনিয়ন ভুমি অফিসে সেবার মান নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ভূমি কর্মকর্তা সেলিম

রামুতে ইউনিয়ন ভুমি অফিসে সেবার মান নিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন ভূমি কর্মকর্তা সেলিম

মনসুর আলম মুন্না, স্টাফ রিপোর্টার: কক্সবাজারের রামু উপজেলা ধেছুয়াপালং ইউনিয়নের ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সেলিমের সেবার মান নিয়ে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা। বিগত ৯ মাস ধরে কোন ভোগান্তি ছাড়াই নিরলসভাবে কাছ করে মানুষের মাঝে সুনাম কুড়িয়েছেন এই ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সেলিম।

এর আগে জেলার অধিকাংশ ভূমি অফিসে দীর্ঘ ২৮ বছর যাবৎ সেবা দিয়ে অন্যান্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন ইউনিয়ন ভুমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা সেলিম। সেবার মান নিশ্চিত করতে এবং সেবা প্রত্যাশীদের হয়রানি রোধ করতে অফিসের প্রতিটি কর্মচারীদের দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকেন।

জানা যায় যে, ধেছুয়াপালং ইউনিয়নে ভুমি অফিসের বিগত বছরগুলোতে সেবার মান তেমন না পেলেও এখন কোন ভোগান্তি ছাড়াই মানুষের ভুমি সেবা পেয়ে খুশি। জমি সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার পরেই এক টাকা ঘুষ ছাড়া সেবা পেয়ে মহা খুশি ইউনিয়নের লোকজন।

ইউনিয়ন ভুমি অফিসে গিয়ে দেখা যায় যে, সকাল থেকে অফিস টাইম মেইনটেইন করে সেবা দিচ্ছেন ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা সেলিম। তবে কোন ভোগান্তি ছাড়াই এসব সেবা পেয়ে অনেকেই বলেন, আমরা কোন ঘুষ এবং হয়রানি না হয়ে সেবা পাচ্ছি। বিগত বছরগুলোতে তেমন কোন সেবা না পেলেও দীর্ঘ ৯ মাস ধরে সেবার মান অনেক বেড়েছে। আমরা জমির খতিয়ান থেকে শুরু করে জমি সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা সমাধান করতে পেরেছি।

অনেক ক্ষেত্রে ভুমি অফিসের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও। কিন্তু রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের ধেছুয়াপালংয়ের ভূমি অফিসের কাজের বিষয়ে সম্পুর্ন ভিন্নতা রয়েছে।

সম্পৃতি বেশ কয়েকটি নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে উক্ত ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সেলিম সাথে একান্ত আলাপকালে জানা যায় যে, উপজেলার হিমছড়িস্থ মারমেইড ইকো রিসোর্টের অবৈধভাবে দখল করা জায়গা উদ্ধার কাজে সরকারি নিয়ম মোতাবেক দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিজের উপর দায় করছেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে। তবে সবই ছিল জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত। যেখানে উপজেলার এবং জেলার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মারমেইড ইকো রিসোর্টের অবৈধভাবে গড়ে তোলা তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সেখানে সরকারি জমি রক্ষা করতে এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে গিয়ে রাঘববোয়ালদের রোষানলের শীকার হচ্ছেন এই ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। হঠাৎ কিছু লোক টাকা এবং অবৈধভাবে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে নিজের মান সম্মান ক্ষুন্ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে।

ইতিমধ্যে অনেকেই আমার কাছ থেকে অবৈধভাবে সুবিধা ভোগ করতে না পারায় এমনভাবে মিথ্যা এবং প্রপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। উপজেলা এই সহকারী ভূমি কর্মকর্তা বলেন যেখানে দীর্ঘ ২৮ টি বছর আমার বিরুদ্ধে কেউ একতিল পরিমাণ ভুল ধরতে পরেনি সেখানে আমার শেষ বয়সে আমার নামে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে অবৈধভাবে ফায়দা লোটে নিতে চাইছে। তিনি আরোও বলেন, আমার বিরুদ্ধে কোন তিল পরিমাণ ত্রুটি পেলে বা সরকারি দায়িত্ব কোন পরিমাণ ডিস্পোজাল হলে নিজের আত্মসম্মানের বিষয় নিয়ে টানাটানি হবে। তাই নিজের সুনাম এবং সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করতে সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ হিসেব নিজেকে প্রতিনিয়ত বিসর্জন দিয়েছি। নিজের প্রতিটি দায়িত্বকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে দেখবাল করছি। আর অল্পদিন চাকরীর বয়স আছে। অহেতুক মানুষ অবৈধভাবে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে বড় আকারের মিশনে নেমেছে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরিদুল আলম বলেন, আমরা এই মুহূর্তে ভুমি সেবার মান-মর্যাদা বজায় রাখতে যথেষ্ট চেষ্টা করতে দেখেছি। অফিসের বর্তমান ভুমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম নিজেকে বিসর্জন দিয়ে ভূমি সেবা দিচ্ছে। এই পর্যন্ত কোন গ্রাহক ভোগান্তির কথা জানা যায়নি। মানুষ সেবা পেয়ে অত্যান্ত খুশি। আমরা চাই এই কর্মকর্তার হাত ধরেই ভুমি অফিস দুর্ণীতি মুক্ত হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |