বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৪ অপরাহ্ন
রেজাউল করিম রেজা, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ নগরীর নওমহল এলাকার সারদা ঘোষ রোডস্থ নির্মাণাধীন ভবন টাওয়ার বিল্ডিং নং-৪৩-এর ৩য় তলায় গতকাল ৬ (ডিসেম্বর) একজন যুবকের মৃতদেহ পাওয়া গেছে মর্মে সংবাদ পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার (ওসি) সফিকুল ইসলাম ও জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) এম এম মোহাইমেনুর রশিদ, পিপিএম সংবাদ সম্মেলনে জানান, ভবনের নির্মাণ শ্রমিকদের ফোরম্যান রমজান আলী (২৪), পিতা-মোঃ রশিদুল ইসলাম, ঠিকানা-পূর্ব বরগ্রাম, কাশিনাথপুর, থানা-জলঢাকা, জেলা-নীলফামারী এর মৃতদেহ তার নিজ শয়নকক্ষে পাওয়া যায় এবং ডিবি পুলিশ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখতে পায় তার মাথায় ভারী ভোতা বস্তু দ্বারা উপর্যুপরি আঘাতে তার মুখমন্ডল ও মস্তকের ডান অংশ পুরোপুরি বিকৃত অবস্থায় রয়েছে। ঘটনাটি তাৎক্ষণিকভাবে ময়মনসিংহ নগরীতে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে।
পুলিশ সুপার আজিজুল ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা গোয়েন্দা শাখা ও কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও হত্যাকারীকে ফিল্মি স্টাইলে নরসিংদী থেকে গ্রেফতার করেন। অপরাপর নির্মাণ শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদকালে পুলিশকে জানায় ফোরম্যান হিসেবে দায়িত্বপালনকালে মৃত রমজান আলীর কাছে কিছু মজুরী পাওনা ছিল। সেই আলোকে ঘটনাস্থল থেকে জব্দকৃত ভিকটিমের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে এবং ভবনের প্রবেশপথে স্থাপিত একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকে নির্মাণাধীন ভবনে রডমিস্ত্রি হিসেবে কর্মরত মোঃ আমিনুর ইসলাম (২৫)-কে সন্দিগ্ধ হিসেবে সনাক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন
ময়মনসিংহে নির্মাণাধীন ভবনে শ্রমিকের মরদেহ, আটক ১৪
পরবর্তীতে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে ডিবি ও কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই আনোয়ার হোসেন ৭ (ডিসেম্বর)সকাল ০৭:০০ ঘটিকায় এই নারকীয় হত্যাকান্ডে জড়িত আমিনুল ইসলামকে নরসিংদী জেলার সদর থানাধীন শাহপ্রতাপ মোড় এলাকার একটি ছাত্রাবাস থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আমিনুর জানায় যে, গত অক্টোবর মাসে সে রংপুর থেকে ময়মনসিংহে এসে উক্ত ভবনে রডমিস্ত্রি হিসেবে কাজ শুরু করে। এই কাজে তাকে সহযোগিতা করার জন্য তার শশুর ও চাচা শশুরকে সে সাথে নিয়ে আসে। প্রথম দুই সপ্তাহ তাদেরকে নিয়মিত পারিশ্রমিক প্রদান করা হলেও বিগত প্রায় দেড়মাস যাবৎ তারা নিয়মিত পারিশ্রমিক পেত না। একপর্যায়ে তার শশুর ও চাচা শশুর পারিশ্রমিক না নিয়েই গ্রামের বাড়ি ফিরে যায় এবং গ্রামের আত্মীয় স্বজনের কাছে আমিনুরের সম্মানহানি হয়।
এই ধারাবাহিকতায় গতকাল অনুমান ১২:১৫ ঘটিকায় মৃত রমজানের সাথে আমিনুরের তীব্র বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে রমজান তাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করলে আমিনুর উত্তেজিত হয়ে মেঝেতে পড়ে থাকা ভারী লোহার রড দ্বারা রমজানের মাথায় স্বজোরে উপর্যুপরি আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর সে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে পলায়ন করে প্রথমে ঢাকা এরপর নারায়ণগঞ্জ এবং অবশেষে নরসিংদী গমন করে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা লোহার রড জব্দ করা হয়েছে। আসামীকে অতিঃসত্বর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ