বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০৯ অপরাহ্ন

ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

ফেলানী হত্যার বিচারের দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ

ওয়াসিফ আল আবরার, ইবি প্রতিনিধিঃ ২০১১ সালে কুড়িগ্রাম সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে হত্যা ও কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখার বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়ামোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেটে যেয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক পরিষদের সদস্যবৃন্দ ও অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

মিছিলে শিক্ষার্থীদের ভারতীয় আগ্রাসন, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; ভারতীয় আগ্রাসন, মানি না মানবো না; পেতে চাইলে মুক্তি, ছাড়ো ভারত ভক্তি; দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা; আজকের এই দিনে, ফেলানী তোমায় মনে পড়ে; আজকের এই দিনে, আবরার তোমায় মনে পড়ে ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

বক্তারা বলেন, আজকে থেকে ১৪ বছর আগে ঠিক এই দিনে আমাদের বোন ফেলানিকে হত্যা করে কাটাতারে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার এর বিচার করা তো দূরের কথা, বিচার টা পর্যন্ত চায়নি। বিশ্ব বিবেক দেখেছে যে ফেলানী কাঁটাতারের ঝুলছে কিন্তু সেদিন শুধু ফেলানী না, রক্তাক্ত বাংলাদেশ কাঁটাতারে ঝুলছিল। নতুজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে আমরা বিগত ১৫ বছর যাবত আমাদের বোন হত্যার কোন বিচার পাইনি। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, তাদের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক হবে, স্বামী-স্ত্রীর না৷ আমরা আগেও বলেছি, এখন ইউনুস সরকারকে বলতে চাই, ফেলানী হত্যার বিচার সহ জুলাই অভ্যুত্থানে যারা হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে অতিদ্রুত তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, আগামী ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য যারা ভারত প্রীতি দেখাচ্ছে, ভারতের সাথে সম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছে তাদের বলে দিতে চাই, ভারতের সাথে সম্পর্ক বাড়িয়ে লাভ নাই ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের পালস বুজতে হবে। জনগণের পালস বুঝলে ১৫ বছর নয়, ৩০ বছরও ক্ষমতায় টিকে থাকা যাবে। কিন্তু ভারত কাওকে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখতে পারবে না। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে জীবন দেওয়া আবরার ফাহাদ হত্যার বিচার করতে হবে, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের পরিবারের খোঁজখবর নিতে হবে এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ১১ বছর আগে ভারতীয় বিএসএফ বাহিনী পুরো বাংলাদেশের মানচিত্রকে রক্তাক্ত করে কাঁটাতারের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছিলো বলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মনে করে। বর্তমান সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক থাকবে চোখে চোখ রেখে। বিগত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনিতীর কারণে তাদের কাছে নত হয়ে থাকতো। তবে জুলাই বিপ্লবের পর যে সরকার গঠিত হয়েছে তাদের মনে রাখতে হবে ভারত আমাদের কাছে সেরকম কিছু নয়। অনতিবিলম্বে আমার বোন ফেলানী হত্যার বিচার করতে হবে। ভারতকে এর সমুচিত জবাব দিতে হবে। আগামী দিনে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক হবে চোখে চোখ রেখে এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |