মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:৩৭ অপরাহ্ন

হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় গেলেন আওয়ামী লীগ নেতারা

হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে কলকাতায় গেলেন আওয়ামী লীগ নেতারা

বিশেষ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী, এমপি ও বড় একটা অংশ কলকাতায়, ব্যবহার করেছেন কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্ট। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পালাবদলে এখন বিপাকে আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন ভারতে। তাঁদের বেশির ভাগ আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। গত পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত যাওয়ার মধ্য দিয়ে এই যাত্রার শুরু। পরে ধীরে ধীরে যাওয়া শুরু হয়।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে না থাকলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতও নানা কৌশলে প্রকাশ্যে বা গোপনে তাঁদের আশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে । সাম্প্রতি আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি এই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানীমূলক তথ্য পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে তিনি পোস্টের সাথে বেশ কিছু বিমানের টিকেটের ছবিও জুড়ে দেন। তিনি পোস্টের মাধ্যমে জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে তাদের বেশিরভাগই কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, দোবাউড়া সীমান্ত এবং আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয় এবং ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে সরাসরি আসামের গোয়াহাটি এবং আগরতলা বিমান বন্দর ব্যবহার করে কোলকাতায় গিয়ে পৌঁছায়। অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তাদের বেশ বড় একটা অংশ এখনো কোলকাতায় অবস্থান করছে।

গুরত্বপূর্ণ নেতাদের সীমান্ত পার করতে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ছোট মনির ও ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এবং ময়মনসিংহ- ১ আসনের সাবেক এমপি মাহমুদুল হক সায়েম বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।

হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে একজন পার করলেই দালাল ও থানা পুলিশের অসৎ কর্মকর্তারা পায় ১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক পালাবদলে এখন বিপাকে আওয়ামী লীগ। সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে দলটির শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে চলে গেছেন। এবিষয়ে হালুয়াঘাট থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। পুলিশ ও বিজিবি যৌথভাবে চেক পোষ্ট বসিয়েছেন। যারা বলছে মিথ্যা বলছে। ৫ তারিখের পর কিছু নেতাকর্মী পালিয়েছে। এটা ঠিক আমার সময় কেউ যায়নি।

ফুলপুরের এক বিএনপির নেতার দাবি, ওসি আবুল খায়ের আওয়ামী লীগের আমলে সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। তিনি এর আগে ফুলপুর ও তারাকান্দা থানার ওসি ছিলেন। এরপর থেকেই ফুলপুর ও তারাকান্দার অধিকাংশ আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি হালুয়াঘাট থানা যোগদান করার পর থেকেই হালুয়াঘাট সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত ১৬ দিনে প্রায় ৫৩ জন শীর্ষ নেতাকর্মী ভারতে পালিয়েছে বলে জানাগেছে।
পুলিশের এক সোর্স জানান, সাংবাদিক ভাই আমি সত্য কথা বললে আমাকে মেরে ফেলবে। যদি গোপন রাখেন তাহলে বলবো। ১০ লাখ থেকে ৫০ লাখ টাকা দিয়ে অনেক নেতা ইতিমধ্যে পালিয়েছে।
দোবাউড়া থানার ওসিকে বার বার ফোন করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তাঁদের বেশির ভাগ আশ্রয় নিয়েছেন প্রতিবেশী দেশ ভারতে। গত পাঁচই অগাস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত যাওয়ার মধ্য দিয়ে এই যাত্রার শুরু। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে না থাকলে আওয়ামী লীগের অনেক নেতা ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতও নানা কৌশলে প্রকাশ্যে বা গোপনে তাঁদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।

সাম্প্রতি আল-জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের সামি এই বিষয়ে একটি অনুসন্ধানীমূলক তথ্য পোস্ট করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। সেখানে তিনি পোস্টের সাথে বেশ কিছু বিমানের টিকেটের ছবিও জুড়ে দেন।

তিনি পোস্টের মাধ্যমে জানান, ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতা-কর্মী পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে গা-ঢাকা দিয়েছেন। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে তাদের বেশিরভাগই কূটনৈতিক এবং অফিসিয়াল পাসপোর্ট ব্যবহার করে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট এবং আগরতলা সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয় এবং ত্রিপুরা রাজ্যে প্রবেশ করে এবং সেখান থেকে সরাসরি আসামের গোয়াহাটি এবং আগরতলা বিমান বন্দর ব্যবহার করে কোলকাতায় গিয়ে পৌঁছায়। অনুসন্ধান করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে তাদের বেশ বড় একটা অংশ এখনো কোলকাতায় অবস্থান করছে।
গোয়াহাটি, আগরতলা এবং শিলং বিমান বন্দর ব্যবহার করে কোলকাতায় গেছেন এমন ৭ জন আওয়ামী লীগ নেতার বিমান টিকিট কপিও তিনি পোস্টের সাথে সংযুক্ত করে দেন। যাদের টিকিট পাওয়া গেছে তারা হলেন, ১. ছোট মনির, আকরামুজ্জামান মোল্লা শুভ, বিপ্লব বড়ুয়া, মোঃ আবদুল বাতেন, হাবিবুর রহমান, মোঃ আবু জহির, ময়েজ উদ্দিন শরীফ।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2025 Protidiner Kagoj |