Noman Group Advertisement

ছয় বছর পর বুটেক্সে টেক্সবিজ, চ্যাম্পিয়ন আইইউটি'র টিম 'কেইস ক্লোজড ক্রু'

মো: রাফি সারোয়ার , বুটেক্স সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ৩১ মে, ২০২৫, ০৪:৩৯ পিএম

বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) অনুষ্ঠিত হলো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস কেস প্রতিযোগিতা ‘টেক্সবিজ ২০২৫’-এর চূড়ান্ত পর্ব। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি'র টিম 'কেইস ক্লোজড ক্রু'।

৩০ মে (শুক্রবার) বুটেক্স বিজনেস ক্লাবের আয়োজনে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এই চূড়ান্ত পর্ব, যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।

প্রতিযোগিতায় দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মোট ২০০টি দল রেজিস্ট্রেশন করে। এর মধ্যে ১৭টি দল সেমিফাইনাল এবং ৬টি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়। চূড়ান্ত পর্বে ৩টি দলকে চ্যাম্পিয়ন, ১ম ও ২য় রানারআপ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া চূড়ান্ত পর্বের আরো একটি দলকে ইমার্জিং টিম ঘোষণা করা হয়।

সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় সেমিফাইনাল রাউন্ড। দুপুর ৩টা থেকে পোস্টার প্রেজেন্টেশন ও আর্টিকেল রাইটিং সেগমেন্ট এবং কেস কম্পিটিশনের চূড়ান্ত পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। কেস কম্পিটিশনে ১ম রানারআপ হয় টিম ট্রেইলব্লেজারস এবং ২য় রানারআপ হয় টিম ঝালমুড়ি।

এছাড়া আর্টিকেল রাইটিং বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কুয়েটের রোয়াইদা বিনতে আলি এবং পোস্টার প্রেজেন্টেশন বিভাগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বুটেক্সের 'টিম ফিউশন'।

প্রধান অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইঞ্জি. মোঃ জুলহাস উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন। চূড়ান্ত পর্বে বিচারক হিসেবে ছিলেন আরএইচ কর্পোরেশনের নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জি. আ স ম হাফিজুর রহমান নিক্সন, মাসকো গ্রুপের মার্কেটিং ও মার্চেন্ডাইজিং-এর জেনারেল ম্যানেজার শেখ মামুন ফেরদৌস, সিটি ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যান্ড হেড সুবাহ আফরিন এবং লাইটক্যাসেল পার্টনারস এর সিনিয়র বিজনেস কনসালটেন্ট অ্যান্ড প্রজেক্ট ম্যানেজার ওমর ফারহান খান। 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের এক জবাবে বুটেক্স বিজনেস ক্লাবের সভাপতি আনান সরকার ফিজা বলেন, “বুটেক্স বিজনেস ক্লাব সবসময় শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে কাজ করে। দীর্ঘ ৬ বছর পর আয়োজিত টেক্সবিজ এর এবারের সংস্করণও তার ব্যতিক্রম নয়। আমার বিশ্বাস আজকের ইভেন্টে শিক্ষার্থীরা বাস্তব অভিজ্ঞতা অর্জনের পাশাপাশি উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটাতে পেরেছে।''

সাধারণ সম্পাদক সোহানুর রহমান বলেন, “টেক্সবিজ শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এটি ছিল শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা, দলগত কাজ এবং বাস্তব সমস্যা সমাধানের দক্ষতা যাচাইয়ের এক চমৎকার প্ল্যাটফর্ম। আমরা বিশ্বাস করি, এই আয়োজনের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে, আত্মবিশ্বাস ও বিশ্লেষণী ক্ষমতা আরও শানিত করতে পেরেছে। ভবিষ্যতেও আমরা চাই এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জগতের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠুক।”

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের পর এবারের আয়োজিত আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় বিজনেস কেস প্রতিযোগিতাটি শি-স্টেম, ডাইসিন গ্রুপ, ঢাকা ব্যাংক, অফিসিনা, সামিট ডাই-কেম লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা করছে।

Advertisement

Link copied!