Noman Group Advertisement

স্বর্ণ বিশেষ সমঝোতায় ছেড়ে দিচ্ছে কাস্টমস কর্মকর্তারা

রেজাউল করিম রেজা , বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৫ জুন, ২০২৫, ০৬:৫৫ পিএম

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যেন খুলে গেছে স্বর্ণ চোরাচালানের ‘ওয়ানওয়ে গেট’। বারবার ধরা পড়লেও অভিযুক্ত যাত্রীদের বেশিরভাগকেই ‘বিশেষ সমঝোতায়’ ছেড়ে দিচ্ছে কাস্টমস কর্মকর্তারা। মুখে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ বললেও বাস্তবে সেটি পরিণত হয়েছে দরকষাকষির খেলায়। এমনকি চট্টগ্রাম কাস্টমসের একাংশের বিরুদ্ধে চোরাচালানে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগও উঠে এসেছে বিমানবন্দর পরিচালক দপ্তরের নথিপত্রে।

২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালকের দপ্তর থেকে কাস্টমসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এয়ারপোর্ট ও এয়ারফ্রেইট ইউনিটের উপকমিশনারকে দেওয়া বিমানবন্দর পরিচালক দপ্তরের সেই চিঠিতে অভিযোগ তোলা হয়, চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টমস সদস্যরা সরাসরি চোরাচালানে জড়িয়ে পড়ছেন। যদিও চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সেই চিঠিকে আমলেই নেয়নি। এর তিন মাস আগে ছয়টি স্বর্ণের বার চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরে কর্মরত রাজস্ব কর্মকর্তা কে এম এম সালেমকে শুধু ঢাকায় বদলি করা হয়েছিল। আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে আসা এক যাত্রী ওই কাস্টমস কর্মকর্তার হাতে স্বর্ণের বারগুলো তুলে দিয়েছিলেন। সেগুলো একটি চোরাচালান চক্রের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল।

এমন এক সর্বশেষ ঘটনায় বিদেশ থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে এক কোটি টাকা মূল্যের প্রায় ৯১০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ নিয়ে আসা অভিযুক্ত যাত্রীকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কাস্টমস হাউসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটে। বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ওই যাত্রীকে আটক রেখে দীর্ঘক্ষণ দরকষাকষি চলে। পরে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে অভিযুক্ত যাত্রী মোহাম্মদ মোকসুদ আহমেদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়ন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দোভাষী পাড়ার বাসিন্দা আবদুল খালেকের ছেলে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় মোকসুদ আহমেদ এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে নামেন। গতিবিধি সন্দেহ হলে তার সঙ্গে থাকা লাগেজ তল্লাশি করা হয়। এ সময় হাতঘড়ির চেইন আকারে, মোবাইল এডাপ্টারের ভেতর ও এয়ারপডের ভেতর থেকে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন সাইজের স্বর্ণ পাওয়া যায়। নানা উপায়ে আনা প্রায় ৯১০ গ্রাম ওজনের ২৪ ও ২২ ক্যারেটের স্বর্ণগুলো আগুনের তাপে গলিয়ে জব্দ করা হয়। বিমানবন্দর কাস্টমসের জব্দ করা তালিকায় উল্লেখ করা হয়— ঘোষণা ছাড়া আনা স্বর্ণগুলোর মধ্যে রয়েছে ২১৫ গ্রাম ওজনের ১৬ পিস ডলফিনের মতো লকেট, ১২৮ গ্রাম ওজনের ৭৮ পিস তারকার মতো লকেট, ৪৬০ গ্রাম ওজনের ৩০ পিস বার, ৮০ গ্রাম ওজনের ৪ পিস চুড়ি, ২০ গ্রাম ওজনের ২ পিস আংটি, ৭ গ্রাম ওজনের চেইন। তবে বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, ঘোষণার বাইরে আরও স্বর্ণ পাওয়া গেছে ওই যাত্রীর কাছ থেকে, যা জব্দতালিকায় দেখানো হয়নি।

শাহ আমানত বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছা জানিয়ে বলেন, অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন অভিযুক্ত যাত্রী মোহাম্মদ মোকসুদ। এ সময় কাস্টমস কর্মকর্তারা তার সঙ্গে অনেকটা প্রকাশ্যেই দরকষাকষি শুরু করেন। এ সময় বিমানবন্দরে কর্মরত কয়েকটি সংস্থা আপত্তি তুললেও শেষ পর্যন্ত ‘বিশেষ সমঝোতা’র ভিত্তিতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, অভিযুক্ত যাত্রী মোহাম্মদ মোকসুদের আনা স্বর্ণগুলোর বর্তমান বাজারমূল্য এক কোটি ৭ লাখ ৬১ হাজার ৬৬০ টাকা। বিভিন্ন জিনিসপত্রের মধ্যে গলিয়ে যে উপায়ে ওই যাত্রী স্বর্ণ এনেছেন, ওই যাত্রী অভিজ্ঞ চোরাচালানি। এত বড় চালান ধরা পড়ার পরেও তাকে ছেড়ে দেওয়া মানে এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে। অথচ এর চেয়ে অনেক কম স্বর্ণ আনলেও থানায় নিয়মিত ফৌজদারি মামলা করে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ব্যাগেজ বিধিমালা অনুযায়ী বিদেশফেরত একজন যাত্রী বিনা শুল্কে ১০০ গ্রাম পর্যন্ত স্বর্ণালংকার আনার সুবিধা পান। এছাড়া ৪০ হাজার টাকা শুল্ক-কর দিয়ে সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম ওজনের স্বর্ণবার আনা যায়।

গত ১২ মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে আসা শাহিন আল-মামুন নামে এক ওমরাহ যাত্রীকে তল্লাশি করে ৪০০ গ্রাম ওজনের ১২টি ২২ ক্যারেট সোনার চুড়ি জব্দ করা হয়। বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-১৩৬ ফ্লাইটে আসা ওই যাত্রীর কাছ থেকে জব্দ করা স্বর্ণের বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ ৬৯ হাজার ২০০ টাকা। এ ঘটনায় তাকে আটক করা হলেও ২৪ ঘণ্টা পার না হতেই তিনি নিজ জেলা রাঙামাটিতে ফিরে গিয়ে বিকাল ৫টা ১৯ মিনিটে ফেসবুক লাইভে হাজির হন। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাসিন্দা শাহিন আল-মামুন ছিলেন ওমরাহ হজের মোয়াল্লেম।

 

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় ওই যাত্রীর বিরুদ্ধে ‘আইনানুগ ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা সংবাদমাধ্যমকে জানালেও বিশেষ সমঝোতায় ওইদিনই শাহিন আল-মামুনকে ছেড়ে দেওয়া হয় গোপনে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শাহিন আল মামুন বলেন, ‘আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। ছোট বিষয়কে বড় করে হয়রানি করা হয়েছে। আমি যদি এসব নিয়ে কথা বলি, আবার ঝামেলায় পড়ব। আমাকে আটকই করা হয়নি। আমি সেদিন দুপুর ১২টায় বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে গেছি। আমি ১২টি চুড়ি এনেছিলাম, যা চেক করা হয়েছে ২২ ক্যারেট না ২৫ ক্যারেট তা নির্ধারণের জন্য। আমি বিদেশে ১৫% ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে স্বর্ণগুলো এনেছি। এনএসআই (জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা) বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা করেছে।’

রাঙামাটির হোটেল গ্রান্ড মাস্টারের পরিচালক শাহিন আল-মামুন আরও বলেন, ‘পরে কাস্টমস বিভাগ স্বর্ণগুলো ডিটেনশন মেমোর (ডিএম) করে কাস্টমস কমিশনার অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছে। এখন আমাকে আবার ভ্যাট-ট্যাক্স দিয়ে স্বর্ণ নিতে হবে। আমি আমার এক বড় ভাইকে দায়িত্ব দিয়ে সব কাগজ দিয়েছি, তিনি কাস্টমস অফিস থেকে স্বর্ণ ছাড়িয়ে আনবেন। কাস্টমস জানাবে কত টাকা জরিমানা ও শুল্ক দিতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল বলেন, ‘শাহিন আল মামুন অতিরিক্ত স্বর্ণ এনেছিলেন এবং শুল্ক ফাঁকি দিতে চেয়েছিলেন। তাই তা জব্দ করে কাস্টমস কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি, কারণ তিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত নন। তিনি কেবল নিয়ম লঙ্ঘন করে বেশি স্বর্ণ এনেছিলেন। জরিমানা ও শুল্ক পরিশোধ করলে তিনি স্বর্ণ নিতে পারবেন। যদি কাস্টমস আইনে থাকে। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জসিম উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওই যাত্রী ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ এনেছেন, যা বাজেয়াপ্ত হবে। যদিও তিনি সিন্ডিকেটের সদস্য নন, তিনি একজন বাহক ছিলেন। আমরা সহজেই বুঝতে পারি কে সিন্ডিকেটের সদস্য আর কে বাহক।’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বর্ণবারের শুল্ক-করাদি ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টার কার্যক্রম কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ২(২৪) অনুসারে ‘চোরাচালান’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এছাড়া ধারা ১৯১ (১-৪) লঙ্ঘন করায় শাহিন আল মামুনের স্বর্ণ ডিটেনশন মেমোর (ডিএম) করা হয়েছে আইনি প্রক্রিয়ায়। তবে তাকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি সেদিনের ঘটনায়।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুবাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটে অবৈধভাবে স্বর্ণ বহনের অভিযোগে অভিনেত্রী অনামিকা জুথীসহ দুই যাত্রীকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ৭৩৩ গ্রাম চুড়ি, চেইন এবং হোয়াইট গোল্ডের চেইন সদৃশ স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য ছিল প্রায় ৭০ লাখ টাকা। এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম ও শুল্ক গোয়েন্দারা যৌথভাবে তাদের আটক করে। অভিনেত্রী অনামিকা জুথী স্কচটেপ দিয়ে হাতে চুড়ি আটকে এবং গলায় চেইন লুকিয়ে স্বর্ণ বহন করছিলেন। এছাড়া তারা কিছু স্বর্ণালংকার হাতব্যাগেও বহন করছিলেন। তবে যেহেতু তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী ছিলেন, এভিয়েশন আইন অনুযায়ী তাদের ঢাকা বিমানবন্দরের টিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

তবে ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই অনামিকা জুথী তার রাজধানীর উত্তরার বাসায় পৌঁছে তার চট্টগ্রামের বন্ধু তারেককে ফোন করে জানান, সংবাদমাধ্যম ও টিভিতে তাদের আটকের খবর প্রচারিত হলেও তা সঠিক নয়। তিনি দাবি করেন, স্বর্ণগুলোর ডিটেনশন মেমো (ডিএম) করা হয়েছে এবং শুল্ক পরিশোধের পর তা ফেরত নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আটক অভিনেত্রী অনামিকা জুথীর বাড়ি ঢাকার মিরপুরে এবং তার সঙ্গে আটক যুবক রায়হান ইকবালের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজানে।

গত বছরের ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪৬৪ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার বারসহ জয়নুল আবেদীন শরীফ মিঠু নামে এক চিকিৎসককে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে আলাউদ্দিন নামে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজাহ থেকে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটযোগে আসা এক যাত্রীকেও আটক করা হয়। চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাসিন্দা ডা. এম জেড এ শরীফ ২৭তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা। ২০১২ সাল থেকে তিনি বিমানবন্দরের সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বরত থাকলেও নিজেকে ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তা’ হিসেবে পরিচয় দিতেন। জানা গেছে, ঘটনার দিন সকালে এয়ার এরাবিয়ার ফ্লাইটে আসা যাত্রী আলাউদ্দিন ইমিগ্রেশন দিয়ে বের হওয়ার সময় ডা. শরীফের অফিসে ঢুকে কিছুক্ষণ পরই বেরিয়ে যান। অল্প সময় পর ডা. জয়নুল আবেদীন শরীফ মিঠু তার অফিস থেকে বের হন। কাস্টমস কর্মকর্তারা এ সময় তাকে চ্যালেঞ্জ করেন এবং শরীর তল্লাশি করে ৪৬৪ গ্রাম ওজনের চারটি সোনার বার পান, যার বাজারমূল্য ৪০ লাখ টাকা। এদিকে তাকে আটকের খবর পেয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের চার কর্মকর্তা চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ছুটে গিয়ে ডা. শরীফকে তাদের জিম্মায় নেন। ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় কোনো মামলাও হয়নি।

 

পতেঙ্গা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মো. মোরশেদ আলম জানান, গত চার মাসে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ঘটনায় কাস্টমস থেকে পতেঙ্গা হয়ে কোনো মামলার নথি আদালতে আসেনি। গ্রেপ্তার হলে অবশ্য মামলা হতো, তবে আটক সংক্রান্ত কোনো তথ্যও নেই। অন্যদিকে সংশ্লিষ্ট আদালতের পুরো রেজিস্ট্রার পর্যালোচনা করেও এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তাহলে কি কাস্টমস কমিশনারের কার্যালয়ে তথ্য গোপন করা হচ্ছে, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে? বিষয়টিও রহস্যজনক। এই পরিস্থিতি নিয়ে সিএমপি বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা বলেন, ‘গত ৪ মাসে পতেঙ্গা থানায় এ ধরনের কোনো মামলা আসেনি, তবে গত বছরের ডিসেম্বরে কয়েকটি মামলা ছিলো থানায়। স্বর্ণ চোরাকারবার বন্ধে পতেঙ্গা থানা পুলিশও আন্তরিকভাবে কাজ করছেন। কাস্টমস অফিসে বিমানবন্দরে করা মামলার বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।

 

Link copied!