"শিশুর প্রথম শিক্ষক তার পরিবার"

প্রতিকী ছবি

একজন শিশুর জীবনের প্রথম পাঠশালা পরিবার। জন্মের পর থেকে বেড়ে ওঠার প্রতিটি ধাপে পরিবারই হয়ে ওঠে তার শেখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। এই পরিবারেই শুরু হয় ভাষা শেখা, ভালো-মন্দের ধারণা, শৃঙ্খলা, সৌজন্যবোধ, সহানুভূতি এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নৈতিকতার ভিত্তি স্থাপন।

একটি শিশুর চরিত্র গঠনে প্রাথমিক যে শিক্ষা প্রয়োজন, তার বড় একটি অংশ আসে পারিবারিক পরিবেশ থেকে। মা-বাবা, দাদা-দাদি বা পরিবারের অভিভাবকরাই শিশুর প্রথম আদর্শ। তারা যেমন আচরণ করেন, শিশু ঠিক তেমন করেই শেখে, অনুকরণ করে এবং নিজের জীবনে প্রয়োগ করে।

গুণীজনেরা মনে করেন," আমরা যদি শিশুদের মধ্যে মানবিকতা, সততা, সহানুভূতি, ধৈর্য ও দায়িত্ববোধ দেখতে চাই, তাহলে পরিবারের ভূমিকাকে অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আজকের পরিবারই ভবিষ্যতের সমাজ গঠনের ভিত্তি।”

বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির অগ্রগতি ও সামাজিক পরিবর্তনের কারণে অনেক সময় বাবা-মায়ের ব্যস্ততা শিশুদের কাছ থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এতে করে শিশুরা নৈতিকতা ও মূল্যবোধের দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে। তাই সময়োপযোগী এবং সচেতন পরিবার গঠনের বিকল্প নেই।শিশুদের স্কুল বা কলেজে পাঠানো হয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য। কিন্তু একটি শিশুর আচরণগত শিক্ষা, আত্মনিয়ন্ত্রণ, নৈতিকতা, সহমর্মিতা এসব গড়ে ওঠে তার পারিবারিক পরিবেশ থেকে।”

এছাড়া, সমাজে ব্যাধি ও নৈতিক অবক্ষয়ের যে চিত্র দেখা যায়, তার পেছনে অনেকাংশে দায়ী হয় উপযুক্ত পারিবারিক শিক্ষা না পাওয়া। তাই পরিবারকে একটি সুস্থ ও সহনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে নৈতিক মূল্যবোধের চর্চা হবে প্রতিদিন।

শিশুর ভবিষ্যত গঠনের মূল দায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে। শুধু শিক্ষিত নয়, নৈতিকভাবে শক্তিশালী প্রজন্ম গড়তে চাইলে আমাদের প্রত্যেক পরিবারকে হতে হবে প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয়।

Link copied!