সাংবাদিকতা শুধু কলমের শক্তি নয়, সত্য প্রকাশের এক অঙ্গীকার। আর সেই অঙ্গীকার পূরণে যখন পথে আসে নির্যাতন-নিপীড়ন, তখন দরকার হয় প্রতিরোধের। এ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন মৌলভীবাজারের তরুণ সাংবাদিক মশাহিদ আহমদ। সম্প্রতি তিনি সিলেট বিভাগে “সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশ”-এর সহকারী পরিচালক (সেবা) নির্বাচিত হয়েছেন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত অধিকার রক্ষায় কাজ করার অঙ্গীকার নিয়ে এ সংগঠনটি যাত্রা শুরু করেছে মাত্র এক মাস আগে, ঢাকা থেকে।
মশাহিদ আহমদ এর আগে থেকেই পরিচিত মুখ। জাতীয় দৈনিক আমাদের কণ্ঠ, ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ডেইলি প্রেজেন্ট টাইমস এবং আঞ্চলিক সিলেট বানী পত্রিকায় তিনি মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। পাশাপাশি তিনি দুর্নীতি মুক্তকরণ বাংলাদেশ ফোরাম ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা, মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও সক্রিয়।ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে নিপীড়িত ও ক্ষতিগ্রস্ত সাংবাদিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করার লক্ষ্যে সংগঠনের প্রধান নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক গত ১ অক্টোবর এক পত্রের মাধ্যমে সাংবাদিক মশাহিদ আহমদকে এ দায়িত্ব প্রদান করেন।
সংগঠনের প্রধান নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক মনে করেন—“সাংবাদিক মশাহিদ আহমদের মতো নিবেদিত প্রাণ মানুষই মাঠপর্যায়ে সাংবাদিকদের অধিকারের পক্ষে সোচ্চার ভূমিকা রাখবেন।
প্রসঙ্গত, “সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশ” মূলত দেশের ৬৪ জেলার সাংবাদিক নির্যাতন, হামলা ও হত্যার তথ্য সংগ্রহ করে আইনি সহায়তা ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। একইসঙ্গে যে কোনো সরকারের আমলে সাংবাদিকরা যেন হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার না হন, সেজন্য নীতি নির্ধারণ ও জনমত গড়ে তোলাই সংগঠনটির উদ্দেশ্য।
মশাহিদ আহমদের এই দায়িত্ব গ্রহণে মৌলভীবাজারের সহকর্মী সাংবাদিকরা যেমন উচ্ছ্বসিত, তেমনি আশা করছেন—তিনি এই দায়িত্বকে সার্থকভাবে কাজে লাগিয়ে অঞ্চলের সাংবাদিক সমাজকে আরও শক্তিশালী করবেন।
উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) ঢাকায় আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে পেশাগত অধিকারভিত্তিক সংগঠন “সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ সেল বাংলাদেশ”। নাগরিক সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিককে প্রধান করে ১০১ সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই সংগঠনটি দেশের ৬৪ জেলায় খুন ও নির্যাতনের শিকার সাংবাদিকদের তথ্য সংগ্রহ করে অভিজ্ঞ আইনজীবীদের সহায়তায় ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। একইসঙ্গে, যেকোনও সরকারের আমলেই সাংবাদিকরা যেন পেশাগত দায়িত্ব পালনে হয়রানি বা নিপীড়নের শিকার না হন, সে দিকেও সক্রিয় ভূমিকা
আপনার মতামত লিখুন :