ঢিলে ঢালা ভাবে চলছে রাস্তার কাজ

একেএম রুহুল আমিন স্বপন , নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর, ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম

বৃষ্টি বাদলের দিনে সড়ক কাটা ,সুয়োরেজ ব্যবস্থা ,পানির সংযোগ এগুলো এখন নিত্যকার ঘটনা। তেমনি মানবিক বিপর্যয়ের পথে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ড  অন্তর্গত খিলক্ষেত টানপাড়া ' হাজী সৈকত সরকার , হাজী নজরুল সরকার (সরকার বাড়ি রোড) নাগরিক টেলিভিশন ভবন পর্যন্ত ,এর কাজের ধীরগতির কাজে  সীমাহীন ভোগান্তিতে এলাকার জনগণ।

সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ এলাকার মানুষ এক সীমাহীন যন্ত্রণা ও ক্ষোভ নিয়ে জানাচ্ছে। এলকার অতি গুরুত্বপূর্ণ রোড নাগরিক টেলিভিশন ভবন থেকে পশ্চিম দিকে জান-জান-ই -আলম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়,অন্ধ স্কুল,ম্যাটেনিটি হাসপাতাল ,মসজিদ,মাদ্রাসা,এতিম খানা সহ অনে ছোট বড়ো কারখানা রয়েছে এখানে। এই জনগুরুত্বপূর্ণ সরকার বাড়ি রোডের নির্মাণ কাজ চলছে অবিশ্বাস্য ধীরগতিতে। এটি কেবল একটি নির্মাণ কাজ নয়, এটি স্কুলে বাচ্চা থেকে বৃদ্ধ সকলের নিত্যদিনের কান্ন,দুর্ভোগ এবং অসহায়ত্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

দুর্ভোগ: মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত,এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন একটি স্কুল, একটি বৃহৎ মাদ্রাসার শত শত শিক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অসংখ্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবীরা যাতায়াত করেন। নির্মাণ কাজের এই ঢিলেমি তাঁদের জীবনকে অশান্তিতে ভরে তুলেছে ।

বৃষ্টির তাণ্ডব, দুর্ভোগের শেষ নেই:গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এই রাস্তাটির অবস্থা হয়েছিল অসহ্য, অসহনীয়। রাস্তাটি কাদা ও পানিতে এমনভাবে ডুবে গিয়েছিল যে, মানুষজন 'হাঁটতে গিয়ে হোঁচট স্লিপ কেটে হযবরল দশা। স্কুলের ব্যাগ কাঁধে নিয়ে পিচ্ছিল রাস্তায় পিছলে পড়ছেন'। ছোট একটি পথ পেরোনোও যেন 'অগ্নিপরীক্ষা'!

 

অনুকূল আবহাওয়া, তবুও কেন স্থবিরতা? আমরা লক্ষ্য করছি, বর্তমানে আবহাওয়া একদম কাজের উপযোগী। এই সময় দ্রুত গতিতে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু দায়িত্বশীলদের এই অকারণ গাফিলতি দেখে মনে হচ্ছে, তাঁরা যেন জনগণের কষ্টকে 'তুচ্ছতাচ্ছিল্যের ' কাতারে নিয়েছেন। 

জরুরী  আবেদন : 

এই এলাকার সচেতন জনসাধারণ আজ আর শুধু অনুরোধ নয়, হৃদয় ভাঙা আর্তনাদ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রশ্ন রাখছে------

আর কতদিন তাদের এই অসহ্য কষ্ট নিয়ে বাঁচতে হবে? 

তাদের শিশুদের স্কুলে যাওয়া, আমাদের জীবিকা নির্বাহের পথ—সবকিছু বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এই রাস্তাটা দ্রুত শেষ না হলে কারও জরুরি চিকিৎসা সেবা পৌঁছানোও অসম্ভব হয়ে যেতে পারে! এই দুর্ভোগের দায়ভার কে নেবে?

জান-ই-আলম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান   মোঃ শামসুল আলম সরকার আমাদের প্রতিনিধিকে বলেন,বৃষ্টির মৌসুমেই সরকারের খনন কাজ শুরু এই সংস্কৃতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসা জরুরি। তিনি জরুরী ভিত্তিতে রাস্তার কাজটা করার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ জানায়ে বলেন, আমার স্কুলে হাজারের উপরে বাচ্চা প্রতিদিন এই রাস্তা ব্যবহার করে।

আমরা জোরালোভাবে দাবি জানাচ্ছি, এই মুহূর্ত থেকে কাজটির গতি অন্তত দ্বিগুণ করা হোক। মানুষের চলাচলের পথকে আর এক মুহূর্তের জন্যও মৃত্যুকূপ হয়ে থাকতে দেবেন না।  মনে রাখবেন, এই রাস্তার সাথে হাজারো মানুষের নিরাপত্তা, সময় এবং কর্মজীবন জড়িত, এখন সময়ের দাবি দ্রুত সংস্কার করে জনগনের চলাচলের উপযোগী করে দেয়া।

Link copied!