ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্যে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, এবার এশিয়া সফরে খুব ব্যস্ত থাকায় তিনি উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিমের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। তবে তিনি কিমের সঙ্গে দেখা করতে কোরীয় উপদ্বীপে আবার আসতে পারেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে তার বৈঠকের পরপরই ট্রাম্পের এই মন্তব্য সামনে এসেছে।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ফিরে আসব এবং খুব অদূর ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে দেখা করব।
তিনি আরো বলেন, ‘কিম জং উনের সঙ্গে আমার দুর্দান্ত সম্পর্ক ছিল। আমি মনে করি, যদি আমি নির্বাচিত না হতাম...তিনি আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে পছন্দ করতেন না। তাই আমার মনে হয়, তখন আপনারা একটা যুদ্ধ দেখতে পেতেন।’ উত্তর কোরিয়া গতকাল ট্রাম্পের দক্ষিণ কোরিয়ায় অবতরণের কয়েক ঘণ্টা আগে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল।
ট্রাম্প কিমের সঙ্গে তিনটি শীর্ষ সম্মেলন করেছিলেন। ২০১৮ সালের জুনে সিঙ্গাপুরে প্রথম উত্তর কোরিয়া-মার্কিন শীর্ষ সম্মেলনের সময়, এরপর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে এবং একই বছরের জুনে পানমুনজমে একটি বৈঠক হয়েছিল।
মালয়েশিয়ায় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ বৈঠকে অংশ নিতে শুরু হয় ট্রাম্পের এশিয়া সফর। গতকাল ২৯ অক্টোবর তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় পৌঁছান এবং এপেক সম্মেলনে যোগ দেন।
সেখানে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ং-এর সঙ্গে বৈঠকে বাণিজ্য চুক্তি ও রপ্তানি শুল্কের বিষয় আলোচনা হয়। এ ছাড়া ট্রাম্প চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর আগে তিনি মালয়েশিয়া এবং জাপান সফর করেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি’র সঙ্গে একটি শীর্ষ সম্মেলনের পর, দেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন ট্রাম্প।
আপনার মতামত লিখুন :