দক্ষিণ লেবাননে অভিযান চালিয়ে এক পৌর কর্মীকে হত্যা করেছে ইসরাইলি সেনারা। বুধবার (২৯ অক্টোবর) গভীর রাতে ব্লিদা শহরে এই ঘটনার পর সেনাবাহিনীকে যেকোনো ইসরাইলি আগ্রাসন প্রতিহতে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা (এনএনএ) জানিয়েছে, ড্রোন ও সাঁজোয়া যানসহ ইসরাইলি বাহিনী ব্লিদায় প্রবেশ করে এবং পৌরসভা ভবনে অভিযান চালায়। সেখানে ঘুমিয়ে থাকা ইব্রাহিম সালামেহকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ‘হিজবুল্লাহর অবকাঠামো ধ্বংসের’ লক্ষ্যে অভিযান চালিয়েছে। তবে ওই ভবনটি হিজবুল্লাহ ব্যবহার করছিল—এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দেয়নি ইসরাইলি সেনারা। সেনাবাহিনীর দাবি, ভবনের ভেতরে এক ‘সন্দেহভাজনের’ মুখোমুখি হলে তাৎক্ষণিক হুমকি শনাক্ত করে গুলি চালানো হয়। তবে সালামেহ লক্ষ্যবস্তু ছিলেন কি না, তা স্পষ্ট নয়।
ইসরাইলের অভিযান নিয়ে লেবাননে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। গত গত নভেম্বরে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু প্রায়ই ইসরাইলি সেনারা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননে হামলা চালায়।
গত রাতের ঘটনার পর লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন সেনাবাহিনীর কমান্ডারকে দক্ষিণ সীমান্তে যেকোনো ইসরাইলি অনুপ্রবেশ প্রতিহত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নওয়াফ সালাম ইসরাইলের হামলায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরাইলের হামলা ‘লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর নগ্ন লঙ্ঘন।
ইসরাইলের হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকালে ব্লিদা ও আশপাশের শহরগুলোতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে ইসরাইলি আগ্রাসন ও রাষ্ট্রের নাগরিক সুরক্ষায় ব্যর্থতার প্রতিবাদ জানান।
আপনার মতামত লিখুন :