তিতাস গ্যাসের ডিজিএম আতিয়া বিলকিসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা , প্রতিদিনের কাগজ

প্রকাশিত: ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:৪৪ পিএম

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) সৈয়দা আতিয়া বিলকিস (মিতু) এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণ, পদোন্নতিতে অনিয়মসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, অতীতে পেট্রোবাংলায় দাখিল করা অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তা কার্যকর হয়নি। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থেকে তিনি প্রভাব খাটিয়ে নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ অনুযায়ী, আতিয়া বিলকিস নিয়মিত অফিসে না এসে পদোন্নতি ও বিদেশ প্রশিক্ষণ বাগিয়ে নিয়েছেন। একই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া পরিচয়ে কোম্পানির স্বার্থবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগও উঠেছে। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তার প্রভাবে তিতাসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে পদোন্নতি পান বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

তিতাসের সাবেক জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন খানের নামে পোস্টার লাগানো, সহকর্মীদের হয়রানি, বাড়ি ভাড়া নেয়ার সময় ঘুষ ও চাঁদা দাবি, এমনকি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অর্থ আদায়ের মতো ঘটনাও অভিযোগের অন্তর্ভুক্ত।

অভিযোগে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে তিনি এক সময় আওয়ামী লীগপন্থী কর্মকর্তা সংগঠনের সহ-সভাপতি থাকলেও, বর্তমানে বিএনপি ঘরানার কর্মকর্তাদের সাথে সখ্য গড়ে তুলেছেন এবং বদলি ও পুনর্বহালের নামে আর্থিক লেনদেনে জড়িত।

ভুক্তভোগী কর্মকর্তারা জানান, আতিয়া বিলকিসের দাপটে তিতাসে ভয়ভীতি ও অরাজক পরিবেশ বিরাজ করছে। তারা জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে ডিজিএম সৈয়দা আতিয়া বিলকিস বলেন, “আমার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও হাস্যকর। আমি অসুস্থ অবস্থায় অফিসে দেরিতে আসার কারণে আমাকে শোকজ করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবুও আমাকে ছয় মাস মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। ৩০ বছরের চাকরিতে আমি কখনও অবৈধভাবে এক পয়সাও গ্রহণ করিনি।”

তিনি আরও বলেন, “ভাড়া নেয়া অফিস, প্রশিক্ষণ কিংবা পদোন্নতির সবকিছুই নিয়ম মেনে হয়েছে। এসব মিথ্যা অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।”

Link copied!