ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও ৯ শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত

ওয়াসিফ আল আবরার , ইবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত: ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে থাকার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আরও ৯ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত উক্ত শিক্ষকদের বরখাস্তের চিঠি ইস্যু করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে রেজিস্ট্রার দপ্তর।

সাময়িক বরখাস্তকৃত শিক্ষকরা হলেন- শাপলা ফোরামের কার্যনির্বাহী সদস্য আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহজাহান মণ্ডল ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরফিন, শাপলা ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জয়শ্রী সেন, ইবি শিক্ষক সমিতির সদস্য অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা ও মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক নয়ন, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আক্তারুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মিয়া রাসিদুজ্জামান এবং সাবেক সহকারী প্রক্টর আল-ফিকহ অ্যান্ড ল বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেন।

অফিস আদেশে বলা হয়, জুলাই-আগস্ট বিপ্লব-২০২৪ সময়কালীন অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বিপ্লব বিরোধী ভূমিকা চিহ্নিতকরণের জন্য ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী আপনার বিরুদ্ধে উক্ত কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৩০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২৭১তম (সাধারণ) সভার ১২৩ নং সিদ্ধান্ত মোতাবেক, সিন্ডিকেটের তারিখ থেকে আপনাদের চাকরি থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। বরখাস্তকালীন আপনাকে জীবন-ধারণ ভাতা প্রদান করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিপরীতে ভূমিকা নেওয়া শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে গত ১৫ মার্চ আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আকতার হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রশাসন। লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ, তথ্যচিত্র, ভিডিও ও পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কমিটি ওই শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের জুলাই-আগস্ট বিপ্লববিরোধী ও দমনমূলক কার্যকলাপে সংশ্লিষ্টতা পায়।

পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেট সভায় ১৯ শিক্ষক ও ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ইতোপূর্বে প্রথম দফায় একজন ডিন ও এক বিভাগীয় সভাপতিসহ দু'জন এবং পরের বার আরও ৭ শিক্ষককে বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

Link copied!