ভুয়া বিল–ভাউচারে শতকোটি টাকা আত্মসাৎ, কানাডায় সেকেন্ড হোম ও ফ্ল্যাট, এবং দেশত্যাগের প্রস্তুতির অভিযোগ সত্ত্বেও কৃষি আবহাওয়া তথ্য পদ্ধতি উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ড. মোঃ শাহ কামাল খান বহাল তবিয়তেই রয়েছেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি) এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে মনির হোসেন কৃষি মন্ত্রণালয় ও দুদকে পৃথক অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে উঠে আসা শাহ কামাল গত সরকারের সময়ে রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে শতকোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি ঢাকার মিরপুরের বিজয় রাকিন সিটিতে ৫ কোটি টাকার দুটি ফ্ল্যাট, কানাডায় ১০ কোটি টাকার সেকেন্ড হোম, ছেলের মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার এবং নাম–বেনামে জমি, প্লট ও কোটি টাকা ব্যাংক ব্যালেন্সের মালিক।
বিশ্বব্যাংকসহ সরকারের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ২১২ কোটি টাকার কৃষি আবহাওয়া প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম, ধীর অগ্রগতি এবং ভুয়া বিল–ভাউচারের অভিযোগ থাকলেও মন্ত্রণালয় বহুবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেও তিনি বহাল ছিলেন। প্রকল্প চলাকালীন চারবার বিদেশ সফর এবং অতিরিক্ত ব্যয়ের বিষয়েও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারীরা আরও উল্লেখ করেছেন, ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থান দমন কার্যক্রমে সরকারের পক্ষে শাহ কামাল কোটি টাকা খরচ করেছেন। পাশাপাশি তিনি দেশত্যাগের চেষ্টা করছেন বলেও দাবি করা হয়েছে।
প্রকাশিত সম্পত্তি ও প্রতিক্রিয়া: ড. মোঃ শাহ কামাল খান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমি কোনো অনিয়ম করিনি। সব সম্পত্তি আয়কর রিটার্নে দেখানো আছে। কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে লাগাতার ষড়যন্ত্র করছে। আমি যেকোনো সময় কানাডায় যেতে পারি।” তিনি আরও জানান, তার নিজস্ব বাসা এবং চার বিঘা জমি আছে। ঢাকায় দুইটি ফ্ল্যাট রয়েছে, একটি নিজে থাকেন এবং অপরটি ভাড়া দেওয়া আছে।
প্রকল্প পরিচালকের ভাবির তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার একটি তিনতলা ফ্ল্যাট জিয়া মেডিকেলের পার্শ্বে রয়েছে, যা বিক্রি করা হয়েছে। তাঁর ছেলে কানাডায় বসবাস করেন। আরও জানা গেছে, শাহ কামালের ছোট ভাই আলমগীর একই এলাকায় তিনতলা ফ্ল্যাট বাসা করেছেন। সংবাদে উল্লেখযোগ্য যে, প্রকল্পের তদারকি ও বাস্তবায়নে এই অভিযোগ সত্ত্বেও পরিচালক বহাল থাকায় প্রশাসনিক স্বচ্ছতা ও নিয়ন্ত্রণ প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
আপনার মতামত লিখুন :