বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৫৯ অপরাহ্ন
মনসুর আলম মুন্না ( কক্সবাজার ): কক্সবাজার লাখ জনতার ঈদ আনন্দে সকাল থেকে মিছিলে মিছিল ভরপুর ছিল পুরো শহর জুড়েই। মিছিলগুলো পুরো শহরের অলিগলিতে ছিল টইটম্বুর। তিল পরিমাণ টায় ছিলনা যেন ছিল শুধু মানুষের ভীড়। লাখ ভক্ত অনুরাগীরা ছিলা প্রচন্ড উত্তপ্ত রুধে অপেক্ষমাণ। রোধের এই প্রচন্ড গরমে দাড়িয়ে অপেক্ষা করেছিল একপলক দেখতে প্রিয় নেতাকে। ঠিক সেই কাঙ্ক্ষিত প্রিয় নেতা জনদরদি জননেতা বিএনপির জাতীয় স্থানীয় কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী এপিএস সালাউদ্দিন আহমেদ ঠিক ঢাকা বিমান বন্দর হয়ে দুপুর ১২ টায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক মিবান বন্দরে এসে পৌঁছে গিয়ে লাখ লাখ জনতা ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছিল।
সকাল ৯ টা থেকে বিমান বন্দর রোট ছিল ঈদের মতো নতুন জামা কাপড় পড়ে মানুষের ঢল। কিছুক্ষণ পরপর মিছিলে মিছিলে মুখরিত। মানুষ আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে হন্য হয়ে প্রিয় নেতার ব্যানারে পেস্টুন হাতে হাতে মিছিল। নাচনআর গান ছিল নতুন নতুন যৌক্তিকতা। সূদুর সমুদ্রের পাড়ে পা রেখে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদ লাখ লাখ জনতার ভীড় দেখে আনন্দের অনুভূতি ছিল তার এই সাদামাটা মূখে।
মিছিলে যোগ দিতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার জনতার যোগদান। বিমান বন্দর সড়কটি দখলে নিয়েছিল সালাউদ্দিনের ভক্ত অনুরাগীরা। বিমানবন্দর থেকে নেমেই জনতার ফুলেল শুভেচছা নিতে নিতে গাড়ী বহরে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশ্য হাত নাড়া দিয়ে সকল ধরনের ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষকে একাত্ববদ্ধতার সালাম জানান। পরে কক্সবাজারের সকল বিএনপি নেতার সাথে সাক্ষাৎ বিনিময়ে শেষে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মিছিল মিছিল গাড়ীর বহরসহ চকরিয়া হয়ে পেকুয়াতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য রওনা করেন।
ইতিমধ্যে বিএনপির এই নেতা সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন স্বৈরাচার সরকার ঘুম করে ভারতের সিলংয়ে অজ্ঞান অবস্থায় ফেল দিয়েছিল। ২৫ মার্চ ২০১৫ সাল ঘুম হওয়ার পর থেকে দুইমাস পর ভারতে সিলং থেকে তাকে ভারতীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করেছিল।পরবর্তী জামিনে বের হয়ে ভারতে নির্বাসনে ছিল। যাকে বলা হয় রাজনৈতিক আশ্রয়। স্বৈরাচার সরকার পতনের পরপরই বাংলাদেশে চলে আসেন এই বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন।