বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ পূর্বাহ্ন
গভীর সমুদ্রে জেলের বেশে একটি ট্রলারে অবস্থান নিয়েছে র্যাবের একটি দল। অন্ধকারে বসে বসে অপেক্ষার প্রহর গুনছে সাগর পথে ইয়াবা পাচারকারী দলের। অবশেষে এলো সেই কাঙ্খিত মুহুর্ত। র্যাব তল্লাশি শুরু করলো একটি মাছ ধরার ট্রলার। সেই ট্রলারে মিললো ১ লাখ ইয়াবা। র্যাবের জালে ধরা পড়লো নয় কারবারী। বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) বিকেল ৩ টায় কক্সবাজার র্যাব ১৫ এর অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আটকরা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউপির নয়াপড়া নিবন্ধিত শরনার্থী ক্যাম্পে মৃত জাফর আমানের ছেলে আলী উল্লা (৫০), টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার ওসমান গণির ছেলে জিয়াবুল হোসেন (২১), হ্নীলার জাদিমোড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মৃত ফজল আহমদের ছেলে আবু তাহের (৪০)।
এছাড়া মায়ানমারের ৪ জন নাগরিক আটক করা হয়। তারা হলেন, মো. শফিক ছেলে মোঃ ইউনুস (৩৫), নূরে আলমের ছেলে বদি আলম (২৩), আমিন হোসেনের ছেলে এনামুল হাছান (২০), হাফেজ আহমদের ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২), মাহমুদ হোসেনের ছেলে মোঃ রফিক (২১),এবং সৈয়দ আহমদের ছেলে সাদেক (২২)। তারা সকলেই মায়ানমারের আইক্যাপ জেলার প্রত্তুমনির মেহেরকুল গ্রামের বাসিন্দা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গোয়েন্দা সূত্রে র্যাব-১৫ নিশ্চিত হয়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র অবৈধ পন্থায় ডাঙ্গায় মোটা অংকের টাকা লেনদেন করবে এবং গভীর বঙ্গোপসাগরে ইয়াবার চালান হস্তান্তর করবে। এমন তথ্যে র্যাব সাগরে র্যাব ছদ্মবেশ ধরে। পরে পুরো চক্রকে আটক করে।
আটকদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, আটকরা সকলেই মায়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক পাচারের সাথে জড়িত। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে তারা গভীর সমুদ্র পথকেই মাদক কেনা-বেচায় নিরাপদ পন্থা বলে মনে করেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা একজন হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে টাকা লেনদেন করে গভীর সমুদ্রে ইয়াবা পাচার করে আসছিল।
এবিষয়ে র্যাব এর উপ-অধিনায়ক মেজর আরেফিন ছিদ্দিকী বলেন, আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ঠ আইনে মামলা দায়ের করে কক্সবাজার সদর থানায় সোপার্দের প্রক্রিয়া চলছে।