সাকিব আল হাসান রুবেল:
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার তেকানিগ্রাম, ঝগড়ারচর, চেংটাপাড়া, কাউয়ারচর, চরবোয়ালমারী, চরেরগ্রাম, ধর্মপুর, ঝগড়ারচর ও ডাঙ্গুয়াপাড়াসহ আশেপাশের অন্তত ১৫টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের বসবাস। স্বাধীনতার ৪৮ বছর অতিবাহিত হলেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ওই অঞ্চলে। বর্ষার দিনে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, হাট-বাজার বা হাসপাতালে যাতায়াতে তাদের একমাত্র ভরসা খেয়া নৌকা। একটি ব্রিজের অভাবে তারা খেয়া নৌকায় পারাপার হচ্ছেন দীর্ঘদিন। স্থানীয়দের অভিযোগ- জাতীয় সংসদ, উপজেলা এমনকি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আসলে প্রার্থীরা একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতির কথা ভুলে যান।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার হতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। মাঝেমধ্যে অনেক শিশু শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপের কারণে গ্রামগুলোতে দোকানপাট খুব একটা নেই। কৃষকরা আবাদকৃত জমির ফসল শহরে নিতে না পারায় বাধ্য হয়ে গ্রামে বসেই কম দামে বিক্রি করতে হয়। তবে ব্রিজ নির্মাণ হলে ওই এলাকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গতি ফিরবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এছাড়া নৌকাটি যাত্রী নিয়ে পূর্ব পাড়ে পৌঁছালে পশ্চিম পাড়ের মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়, সেটি কখন আবার এসে দাঁড়াবে এপাড়ে। এতে যেন দুর্ভোগের শেষ নেই কিষান-কিষানিসহ শ্রমজীবী মানুষের। স্থানীয় দাঁতভাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন থেকে এলাকার মানুষ খুব কষ্টে যাতায়াত করে। কয়েকবার উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী বলেন, বাঘেরহাট জিঞ্জিরাম নদীর উপর ৬০ মিটার ব্রিজের জন্য ডিও পাঠানো হয়েছে। আশা করছি দ্রুত ব্রিজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।