সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

ভূঞাপুরে ফলন ভালো হওয়ায় বাড়ছে আউশ ধানের আবাদ

ভূঞাপুরে ফলন ভালো হওয়ায় বাড়ছে আউশ ধানের আবাদ

ভূঞাপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ফলন ভালো হওয়ায় বাড়ছে আউশ ধানের আবাদ। চলতি বছরে উপজেলায় আউশ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবছর উপজেলায় ৩০৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান লাগিয়েছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস এর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে ১ হাজার ২২০ মেট্রিকটন। নিয়মিত পরিদর্শন ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবছর আউশের বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বোরো ও আমন ধানের জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছে কৃষকরা। মাঠ জুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালি রং এর পাকা আউশ ধান। ইতিমধ্যে কৃষকেরা আউশধান কাটতে শুরু করেছে। কৃষকদের বাড়ি বাড়ি চলছে আউশ ধানের মাড়াই উৎসব। ধান কাটা ও মাড়াই নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কৃষাণ-কৃষাণীরা। চলতি বছরে আউশের ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষকরা।

উপজেলার জিগাতলা গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলাম বলেন, আমি দুই বিঘা জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছি। বোরো ও আমন ধানের চেয়ে আউশ চাষে খরচ অনেক কম। বাজারে দামও ভালো। হাট বাজারে প্রতি মন আউশ ধান বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২‍‍`শ টাকায়। চর নিকলা গ্রামের কৃষক আমজাদ আলী বলেন, বোরো ও আমন ধান আবাদের মাঝখানের কয়েক মাস আমাদের জমি পতিত থাকতো। কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি সেই সময় জমিতে আউশ ধান লাগিয়েছি। আমার মতো আরো অনেক কৃষক এই ধান চাষ করেছে। আল্লাহর রহমতে ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

গোবিন্দাসী এলাকার কৃষক তারেক বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর দ্বিগুণ জমিতে আউশ ধান আবাদ করেছি। আমার দেখা দেখি আরো অনেক কৃষক আউশ ধান আবাদ করেছে। অন্যান্য ধানের মতো আউশ ধানে তেমন একটা সেচ, নিড়ানি ও সারের প্রয়োজন হয়না। এ ধান আবাদে খরচ কম লাভ বেশি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর উপজেলায় আউশের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে আউশ ধান আবাদের জন্য কৃষকদেরকে উৎসাহ সহ বিনামূল্যে সার ও বীজ দিয়েছি।এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছি। এবছর উপজেলায় ৩০৫ হেক্টর জমিতে আউশ ধান চাষ করা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ২২০ মেট্রিকটন। আগামীতে আরো বেশি জমিতে আউশ ধান আবাদ হবে বলে আশাবাদী।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |