শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
সুমন ভট্টাচার্য, ময়মনসিংহ :
কেউ সেজেছে কৃষ্ণ, কেউ রাধা, কেউবা জুটি হয়ে এসেছে রাধা-কৃষ্ণের সাজে। শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে অনেক শিশুরা এভাবে সেজে এসেছে নগরীর দূর্গাবাড়ী মন্দিরের প্রাঙ্গনে জন্মাষ্টমী শোভাযাত্রা অংশ নিতে। ময়মনসিংহে নানা আয়োজনে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে এ উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও হিন্দু ধর্মীয় আর্য ধর্ম দূর্গাবাড়ী মন্দির থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রায় ময়মনসিংহ সদর ও নগরী এলাকার কয়েক হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বী অংশগ্রহণ করেন।
পরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ (বাবু) এমপি।এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মসিক সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। এসময় বক্তব্য রাখেন, রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক,পুলিশ সুপার মোহাঃ আহমার উজ্জামান পিপিএম সেবা, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি এডভোকেট রাখাল সরকার,কুমার রায়, শংকর সাহা,উত্তম চক্রবর্তী রকেট, এডভোকেট তপন দে,এডভোকেট পিযুষ কান্তি সরকার,সাংবাদিক প্রদীপ ভৌমিক, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম,পুলক চক্রবর্তী, এডভোকেট বিকাশ রায়, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সুমন ভট্টাচার্য প্রমুখ।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুসারে, পাঁচ হাজার বছর আগে পাশবিক শক্তি যখন ন্যায়, নীতি, সত্য ও সুন্দরকে গ্রাস করতে উদ্যত হয় তখন সেই অশুভ শক্তিকে দমন করে কল্যাণ ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য অবতার হিসেবে শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব ঘটে। দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনের জন্য যুগে যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে অবতীর্ণ হন এবং সত্য ও সুন্দরকে প্রতিষ্ঠা করেন। হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট জানায় হিন্দু পঞ্জিকা মতে, ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয় তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতিবছর মধ্য আগস্ট থেকে মধ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময়ে পড়ে।