শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জমিদার রহমান আন্তর্জাতিকভাবে সম্মাননা পেলেন

শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার জমিদার রহমান আন্তর্জাতিকভাবে সম্মাননা পেলেন

সুজন আহম্মেদ, রংপুর ব্যুরো
রংপুরের কৃতি সন্তান সফল অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. জমিদার রহমান কর্মজীবনে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় আন্তর্জাতিকভাবে দুটি সম্মাননা পেলেন। তিনি ভারত থেকে সম্প্রতি মহাত্মা গান্ধী গোল্ডে এ্যাওয়ার্ড ও মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস এ্যাওয়ার্ড সম্মাননা পেয়েছেন।

ভারতের পশ্চিম বঙ্গের অল ইন্ডিয়া মহাত্মা গান্ধী ইনস্টিটিউট অফ কম্পিউটার সাইন্স এন্ড টেকনোলজি কর্তৃক মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস এ্যাওয়াড ও কলকাতার সুত্তিবৃত্ত এবং বাংলাদেশের আলোকিত বাংলার মুখ যৌথভাবে মহাত্মা গান্ধী গোল্ডেন এ্যাওয়ার্ড প্রদন করে। এর আগে কর্মময় জীবনে শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে কারিগরি পর্যায়ে প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে জাতীয়ভাবে তিন তিনবার সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে কয়েকবার পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান প্রধানের সম্মানা পুরস্কার। গঙ্গাচড়া উপজেলার গজঘন্টা ইউনিয়নের উমর গ্রামের সন্তান ইঞ্জিনিয়ার মো. জমিদার রহমান।

তিনি ৯৪ সালে ডুয়েট থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এ অনার্স মার্কসহ ডাবল স্ট্যান্ড করেন। ২০০১ সালে বিআইটি রাজশাহীতে (বর্তমান রুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সহকারী অধ্যাপক (উন্নয়ন) পদে চাকরীতে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সালে পঞ্চগড় জেলার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। ১ বছর পরেই (২০০৫) তিনি সেখান থেকে কুড়িগ্রাম টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে বদলী হয়ে আসেন। নিজের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে ২০১৫ সালে কারিগরি পর্যায় সেরা প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেন।

২০১৮ পাবনা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে বদলী হয়ে যান। সেখানেও দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করায় সুনাম অর্জন করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজ জেলা রংপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজে অধ্যক্ষের দায়িত্ব গ্রহন করেন। যোগদানের অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান উন্নয়নে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহন করে আলোচনায় আসেন। তিনি যোগদানের ৬ মাসের মধ্যে অবকাঠামো খাতে মেরামত, সংস্কার, নির্মাণ ও উর্দ্ধমুখি সম্প্রসারণ এবং আসবাবপত্র উপখাতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অনুকুলে ৪ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ এনে প্রতিষ্ঠানটির আমুল পরিবর্তন ঘটান। এ বছর কারিগরি পর্যায় প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান ও অধ্যক্ষ বিভাগীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধানের পুরস্কার পায়।

 

কর্মজীবনে ২০১৮, ১৯ ও ২২ সালে বিভাগীয় পর্যায় শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং ২০১৭, ১৮ ও ১৯ সালে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন। কর্মজীবনে কারিগরি পর্যায় তিন তিনবার জাতীয়ভাবে পুরস্কার পান। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক, মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক সংগঠন অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জমিদার রহমানকে সম্মাননা পুরস্কার দিয়েছে। এর মধ্যে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত গোল্ডেন এ্যাওয়াড, মাদার তেরেসা গোল্ডেন এ্যাওয়াড, বিচারপতি এসএম মোরশেদ স্মৃতি গোল্ডেন এ্যাওয়াড, হিউম্যান রাইটস পিস এ্যাওয়াড, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সম্মাননা, স্বাধীনতা স্মতি এ্যাওয়াড ও মুজিববর্ষ সম্মাননা স্বারক।

 

সংসার জীবনে তিনি ৩ সন্তানের জনক। এক ছেলে আমেরিকার ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্সে ও ইঞ্জিনিয়ারিং এ পিএইচডিতে অধ্যায়নরত। অন্য ছেলে ৩৮তম বিসিএস ক্যাডারে নিয়োগ পেয়ে পিডবিøউতে সহকারি প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত। ছোট মেয়ে রংপুর সরকারি গালর্স হাইস্কলে দশম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত। তিনি গত ২১ আগষ্ট নিজ দায়িত্ব থেকে পিআরএল এ গমন করেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |