শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৩২ পূর্বাহ্ন

আপডেট
মাগুরায় চায়না কমলা লেবুর চাষে তিন বছরেই বাজিমাত শিক্ষক দম্পতির

মাগুরায় চায়না কমলা লেবুর চাষে তিন বছরেই বাজিমাত শিক্ষক দম্পতির

মাগুরা প্রতিনিধি:

মাত্র তিন বছরেই চায়না কমলা লেবুর চাষে বাজিমাত করেছেন মাগুরা শ্রীপুরের এক শিক্ষক দম্পতি। আশুতোষ বিশ্বাস উপজেলার নাকোল সম্মিলনী ডিগ্রী কলেজের আইসিটি শিক্ষক এবং তাঁর সহধর্মিণী মায়া চৌধুরী মাগুরা সদর উপজেলার কছুন্দী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তাদের বাড়ি উপজেলার মধুপুর গ্রামে।

বুধবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি লেবু গাছে হাজারো কমলা লেবু থোকায় থোকায় ধরে আছে। আকার অপেক্ষাকৃত ছোট হলেও লেবুগুলোর রঙ বিদেশী চায়না কমলা লেবুর মতোই। থোকায় থোকায় লেবু ঝুলে থাকা গাছগুলো দেখতে প্রতিদিনই দর্শনার্থীদের ভিড় লেগে থাকে। মাগুরার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কৃষি বিভাগের ডিডি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ জেলা উপজেলার সরকারি কর্মকর্তাগণ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এ কমলা লেবুর বাগান দেখতে সেখান গিয়েছেন। অত্যন্ত লাভজনক এ চাষে অন্য কৃৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে ইতিমধ্যেই উপজেলা কৃষি অফিস উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।

কমলা বাগানের মালিক আশুুতোষ বিশ্বাস জানান, তিন বছর আগে তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে চায়না কমলা লেবুর চাষ শুরু করেন। চুয়াডাঙ্গা থেকে ৬৪টি কমলা লেবুর চারা ২০০ টাকা করে কিনে এনেছিলেন। দ্বিতীয় বছরই অল্প অল্প কমলা ধরেছিল। এবার তৃৃতীয় বছরে প্রায় প্রতিটি গাছেই ৪০ কেজি থেকে ৮০ কেজি কমলা ধরেছে। প্রতি কেজি কমলা বাগান থেকেই ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এ চাষ করতে অন্য ফসলের মতোই জৈব সার, ইউরিয়া, টিএসপি, পটাশসহ কৃষিকাজ প্রচলিত স্বাভাবিক সারই ব্যবহার করতে হয়।

মাঝে মধ্যে গাছে ওষুধ স্প্রে করা লাগে। উপজেলা কৃষি অফিস সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়ে থাকে। এ চাষ অত্যন্ত লাভবান। গাছ বড় হলে এ ফলন আরো বৃদ্ধি পাবে। এ চাষ সম্প্রসারণের জন্য এ বছর তিনি প্রায় ২ হাজার চারা তৈরি করেছেন। প্রতিটি চারা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

এ বিষয় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সালমা জাহান নিপা বলেন, আশুতোষ বিশ্বাসের কমলা বাগানে দৃষ্টিনন্দন কমলা ধরেছে। আমরা সকলেই কয়েকবার সেখান গিয়েছি। একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা বাগানটি প্রায়ই পরিদর্শন করেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অন্য কৃষকদের মাঝে এ চাষ ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। অপেক্ষাকৃৃত উঁচু জমিতে এ চাষ ভাল হয়। ফলন ভাল বিধায় কৃষকরা এ চাষে লাভবান হবেন।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |