মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:৪৯ অপরাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাঙ্গুনিয়ার গুমাই বিলে বোরোর পাকা ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকেরা। চট্টগ্রামের শস্যভাণ্ডার খ্যাত এ বিলে উপজেলার অন্যান্য কৃষি জমিতে ব্রি ধান-২৮ এ নেক ব্লাস্ট রোগে ক্ষতি হলেও গুমাইবিলে এই জাতের চাষাবাদ কম হওয়ায় আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা।
গুমাইবিলে এবার মধ্যমেয়াদী ব্রি ধান-৮৮ জাতের চাষাবাদ বেশি হয়েছে। বাম্পার ফলন হয়েছে, ধান পাকতে শুরু হয়েছে, এতে কৃষকরা দ্রুত বোরো ধান কাটতে পারছেন।ইতোমধ্যে গুমাই বিলের চন্দ্রঘোনা, মরিয়মনগর অংশে ধান কাটা শুরু করেছেন কৃষকরা। তবে শ্রমিক সংকট ও মজুরি বেশি হওয়ায় দিশেহারা অবস্থা কৃষকের।
অন্যদিকে ভালো দাম নিশ্চিতে বাজার মনিটরিংয়ের ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার বলেন, ব্রি ধান ৮৮, ৯২ সহ হাইব্রিড ধানের জাতগুলো এবার বেশি চাষাবাদ হয়েছে গুমাইবিলে। ব্রি ধান-৮৮ জাতটি অন্যান্য জাতের চেয়ে ৭-১০ দিন আগাম হওয়ায় এখন গুমাইবিলে এ জাতটির ধান কাটা শুরু হয়েছে।
ফলন আশানুরূপ হয়েছে, নমুনা শস্যে হেক্টর প্রতি ৬-৬.৩ টন পর্যন্ত ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, এবার উপজেলার ৮ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এরমধ্যে গুমাইবিল হাইব্রিড জাতের ছক্কা, টিয়া, সুরভী–১, তেজগুল্ড, হিরা–২, হিরা–৬, ইস্পাহানি ৮, সিনজেন্টা ১২০৩ এবং ১২০৫, উফশী জাতের ব্রি ধান ৮৮, ২৯, ৭৪, ৮৪ ও কাটারী জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ১০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে।
আগামী সপ্তাহের দিকে পুরোদমে কাটা শুরু হবে। ব্রি ধান-২৮ এ কিছু রোগ দেখা দিয়েছে। তবে তা একেবারেই নগণ্য। আশা করছি এবারও ধানের উৎপাদন রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।