শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৫১ পূর্বাহ্ন
চট্টগ্রাম ব্যুরো :
দেশিয় রফতানিকারকরা চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে গত ৯ মাসে ২৮ হাজার ২২০ টন সবজি ও ফলমূল রফতানি করেছেন।রফতানি হওয়া পণ্যের মধ্যে আলু ২৫ হাজার ১৯৮.১৮৮ টন, ফুলকপি ৮.৪৮২ টন, বাঁধাকপি ২ হাজার ১৪২.২৮৬ টন, কুমড়া ৫৮২.৯০৩ টন, টমেটো ১৮০.১৯৮ টন, শালগম ৫৬.২০০ টন, বেগুন ০.৫৭৬ টন, তরমুজ ১৩.৩২০ টন এবং কাঁচা কলা ৪.৫ মেট্রিক টন। গত বছরের ২০২২ সালের ১ জুলাই থেকে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১০ ধরনের পণ্য বিদেশে রফতানি হয় বলে জানিয়েছে উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র।
বাংলাদেশ ফল ও সবজি পণ্য রফতানিকারক সমিতির তথ্য মতে, ২০২১-২২ অর্থবছরে আকাশ ও সমুদ্রপথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রায় ১১৭ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ফল এবং সবজি রফতানি হয়েছে।এর মধ্যে প্রায় ৩০ শতাংশ বিভিন্ন মৌসুমি ফল। সে হিসেবে বছরে প্রায় ৩৫ মিলিয়ন ইউএস ডলারের ফল রফতানি হয়েছে।গত ১৪ মার্চ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কন্টেইনারে চট্টগ্রামের সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল মালয়েশিয়ায় ১৩.৩২ মেট্রিক টন তরমুজ রফতানি করে। এর রফতানি মূল্য প্রায় চার হাজার মার্কিন ডলার। এরপর এপ্রিলে বগুড়ার শিবগঞ্জ থেকে আনা ৪.৫ মেট্রিক টন কলা মালয়েশিয়ায় রফতানি করেছে সাত্তার ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিষ্ঠানটির সিএন্ডএফ অ্যাজেন্ট স্কাই সি ল্যান্ডের ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম জানান, কলার পণ্য চালানটির মূল্য ছয় হাজার মার্কিন ডলার। পণ্য চালানটিতে ১৭ মেট্রিক টন গোল আলুও ছিল।
কাস্টমসের তথ্যানুযায়ী, মার্চ মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ১ লাখ ৭৭ হাজার আমদানি-রফতানির শুল্ক নথির বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৬২ হাজার আমদানি রফতানির শুল্ক নথির বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৪ হাজার ২২৭ কোটি টাকা ও ফেব্রুয়ারি মাসে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা।চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপ-পরিচালক মো. নাছির উদ্দিন বলেন, গত নয় মাসের বেশি সময়ে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর দিয়ে ১০ ধরনের সবজি ও ফলমূল বিদেশে রফতানি করেছেন দেশিয় রফতানিকারকরা। এই সময়ে বন্দর দিয়ে রফতানি হওয়া ফল ও সবজির পরিমাণ ২৮ হাজার ২২০ টন।