বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:০৬ অপরাহ্ন
মোহাম্মদ ফারুক আজম : আগামী শনিবার (১১ নভেম্বর ) মহেশখালীতে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এ আগমনকে ঘিরে মহেশখালী সেজেছে নবরূপে। প্রতিটি সড়কজুড়ে এখন তোরণের ছড়াছড়ি। রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন আর বিলবোর্ডে সেজেছে পুরো মহেশখালী । প্রধান প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলিগলিতেও শোভা স্বাগতম জানিয়ে পোস্টার-ব্যানার-প্যানাফ্লেক্স। বর্ণিল আলোকসজ্জা ও রং-তুলির আঁচড়ে পাহাড়ি দ্বীপ যেন নতুন সাজে সজ্জিত হয়েছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মহেশখালী প্রবেশদ্বার বদরখালী সেতু হতে বাঁশের তৈরি স্থানীয় দলীয় নেতাদের সুসজ্জিত রঙিন তোরণ। বিভিন্ন মোড়ে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে তড়িঘড়ি করে সংস্কার করা হচ্ছে দীর্ঘ দিনের অবহেলিত মাতারবাড়ি সংযোগ সড়ক সহ বিভিন্ন সড়কের ছোট বড় গর্তগুলো ভরাট সহ নতুন করে কার্পেটিং করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে নৈরাজ্যের প্রতিবাদে জয়পুরহাটে মহিলা আওয়ামী লীগের মানববন্ধন
দলীয় সূত্রে জানা যায়, আগামী শনিবার (১১ই নভেম্বর) মহেশখালী মাতারবাড়ির জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রায় ৫ লাখ লোক সমাগমের টার্গেট নিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বসে নেই দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরাও। দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দলটির শীর্ষ নেতাকে বরণ করে নিতে। ইতিমধ্যে মহেশখালী জুড়ে প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে পৃথক বর্ধিত সভা করেছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। আওয়ামী লীগের উদ্যোগে প্রতিটি সড়কে দিনরাত চলছে মাইকিং। রেকর্ড জনসমাগম ঘিরে ‘মহেশখালীর মাটি আ.লীগের ঘাঁটি’ পুরোনো এই প্রবাদ আবারো নতুন করে প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চান নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মহেশখালী উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ও কালারমারছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, তারেক বিন ওসমান শরিফ বলেন, মহেশখালীতে আসছেন জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা । এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে অনেক আনন্দ ও উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। পুরো মহেশখালীবাসী বঙ্গবন্ধুকন্যার আগমনের অপেক্ষায় অধীর। প্রধানমন্ত্রী মহেশখালী বাসীর জন্য অনেক কিছু করেছেন। মহেশখালীর উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী হাতভরে দিয়েছেন। তাঁরা এবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে কিছুই চাইবেন না। তাঁকে মহেশখালীবাসী কৃতজ্ঞতা জানাবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার আহ্বানের বক্তব্য শুনতে মহেশখালীতে সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
তিনি আরও বলেন, ” উত্তর মহেশখালী উপজেলা চাই “দাবিটি এখন গণমানুষের দাবিতে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের চাওয়া এই দাবী নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক লিপি প্রদান করা হবে।
মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম ছমি উদ্দিন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দ্বিতীয় টঙ্গীপাড়া খ্যাত মাতারবাড়িতে আগমন উপলক্ষে গণমানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনার যেন শেষ নেই। সমাবেশের জন্য সকাল থেকে রাত অবধি প্রচার-প্রচারণা চলছে। এটিকে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসভায় রূপ দিতে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছি। মাতারবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নারী-পুরুষ ৪০ হাজার জনসাধারণ নিয়ে জনসমাবেশে অংশ নিবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক কর্মসূচি ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপ- সম্পাদক আবুল মনসুর আবেদীন বলেন, জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে এই অঞ্চলের সাংগঠনিক অবস্থা আরও শক্তিশালী হবে এবং নেতাকর্মীদের মনোবল চাঙা হবে। যা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। জনসভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দিকনির্দেশনা দেবেন তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সক্ষম হব। যা আমাদের দলকে সুসংগঠিত করা এবং আগামী নির্বাচনে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ সুকান্ত চক্রবর্তী জানান,প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভা শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।