শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৩৮ অপরাহ্ন

ইয়াবা খালেক মানেই আতঙ্ক

ইয়াবা

মনসুর আলম মুন্না, কক্সবাজার: কক্সবাজার লিংরোড বেসিক এলাকায় আব্দুল খালেক নামের একজন শীর্ষ ইয়াবা ব্যাবসায়ী এখনোও দেদারসে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।  যার নেতৃত্বে চলেছে পুরোদমে ইয়াবা ব্যবসা। একসময়ের খুচরা ব্যবসায়ী থেকে এখন বনে যান ইয়াবার শীর্ষ ডন। প্রতিদিন ছিনতাই,চাঁদাবাজী , ইয়াবা সেবন এবং পরিবহণের কারনে এলাকার সাধারণ মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠেছে, তবে প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করারও সাহস পাচ্ছেনা।  আর এই  ইয়াবা খালেক মানেই এলাকায় একটি আতংকের নাম। তার নিজস্ব কেডার বাহিনী রয়েছে। এছাড়া আবদুল খালেকের সাথে সম্প্রতী নতুন করে এলাকার অনেকে উঠতি বয়সের তরুন মরণনেশা ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে । তার ইয়াবা কারবারের বিরুদ্ধে কথা বললেই নেমে আসে অকাল ও অমানুষিক নির্যাতন । সাংবাদিক থেকে শুরু করেই কয়েকশ মানুষকে তিনি তার ভাড়াটে গুন্ডা বাহিনী দিয়ে মারধর করে ভিডিও ধারণ করে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।

আরও  পড়ুন: বিভিন্ন জেলায় যানবাহন ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ

একসময়ে নুন আনতে পান্তা ফুরালেও এখন ইয়াবার ছোঁয়ায় কোটিপতি বনে যাওয়া এই ইয়াবা খালেক। স্থানীয়দের মাঝে একসময় ইলেকট্রিক মিস্ত্রী আব্দুল খালেক নামে পরিচিত থাকলেও এখন ইয়াবার টাকায় বাবা খালেক নামে পরিচিত লাভ করেন (অর্থাৎ ইয়াবা ব্যাবসায়ী কোটিপতি খালেক )  নামে পরিচিত।শহরের পার্শবর্তি ঝিলংজা ইউনিয়নের বিসিক উঠনি এলাকার লোকমান হাকিমের ছেলে আবদুল খালেক ৫,৬ বছর আগেও এলাকায় সামান্য কারেন্ট মিস্ত্রির কাজ করতো পরে টমটম চালিয়ে কোন প্রকার চলতো। আবদুল খালেকের পরিবার একসময়ের পুরাতন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করত। তার বাবা লোকমান হাকিম কক্সবাজার রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করত। রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে খালেকের নানি ও খালেকের মা ভিক্ষা করতে আসত কক্সবাজারে । সেই সুবাদে পরিচয় হয় লোকমান হাকিমের সাথে। এরপর আব্দুল খালেকের মায়ের সাথে দ্বিতীয় বিবাহ করেন তার বাবা লোকমান হাকিম । এতে করে বেসিক এলাকায় বসবাস করে দীর্ঘদিন বনে যান স্থানীয়। আইডি কার্ড থেকে শুরু করে সবকিছুই এখন তার  বেসিক এলাকার বাংলাদেশি নাগরিক ।  তার নানা নানী মামা মামী সহ এখনোও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার বাবার নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় বনে যাওয়া এখন এলাকায় ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করে বেড়াচ্ছে।

খালেকের দু স্ত্রীর মধ্যে  বড় স্ত্রী জেসমিনের বাবার বাড়ি টেকনাফ মহেশখালিয়া পাড়া, পুরো পরিবার জুড়েই মাদকের স্বর্গরাজ্য হিসেবে পরিচিত  । তার বউ জেসমিনের নামেও মাদকের মামলা রয়েছে। এবং জেসমিনের পুরো পরিবারের বিরুদ্ধেও একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে। খালেক তার বউ জেসমিনকে দিয়ে লাখ লাখ পিছ ইয়াবা আনে টেকনাফ থেকে।  যা দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয় তার একাধিক মাদক ব্যবসায়ী সেন্ডিকেটের মাধ্যমে। তার নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্র বাহিনী রয়েছে বেশ কয়েকটি। এদের মাধ্যমেও ইয়াবা পাচার করে থাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যারা একসময় ভিক্ষা করে পুরো দেশ জুড়ে ঘুরে বেড়াত আজকে এই খালেকের পুরো পরিবার ইয়াবার ছোঁয়ায় কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বিসিক এলাকা থেকে সর্ব প্রথম চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে আটক হয় এই আবদুল খালেক।পরে দীর্ঘ দিন জেল খেটে এসে আবারো পুরু দমে চালায় ইয়াবা ব্যবসা। খালেক টেকনাফ থেকে বিয়ে করার পর থেকেই শুরু হয় ইয়াবা ব্যবসা। এরপর থেকে লাখ লাখ টাকা আসার পর থেকেই হয়ে যায় প্রচন্ড বেপরোয়া।

পিএমখালীর ছনখোলা এলাকায় একটি জমিতে চাঁদাবাজী করতে গিয়ে আটক হয়ে দীর্ঘ দিন জেল খেটে এসে আবারো তার বাহিনি দিয়ে শুরু করেছে নানান অপকর্ম। এলাকাবাসীর দাবী খালেকের ২ স্ত্রীর এর মধ্যে এক স্ত্রীর বাড়ি টেকনাফ  ,সেখান থেকে প্রতিনিয়ত ইয়াবা এনে কক্সবাজার জেলা সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করছে সে। তার এ কাজে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করে তার মা বোন সহ নিকট আত্বীয় স্বজনরা। আর কেউ সামান্য প্রতিবাদ বা কিছু করলেও ব্যাপক মারধর সহ সম্মানহানী করে। কয়েক বছর আগে আবদুল খালেকের ইয়াবা পাচার করতে গিয়ে কারাগাভোগ করেছিলেন স্থানীয় এক হাফেজ হারুন। খালেকের রয়েছে একাধিক সম্পদের পাহাড়, পাঁচ লক্ষ সত্তর হাজার টাকার মোটর সাইকেল, ২০ টির অধিক দোকান, দুই স্ত্রীর নাম ও সন্তানের নামে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেঞ্চ ও জায়গা জমি । খালেক একসময় দৈনিক ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করে ৩ থে ৪ শ’ টাকা কামায় করলেও খালেকের জীবন যাপন এখন বিলাশ বহুল । তার নিয়ন্ত্রণে চলে হত্যা,গুম, চাঁদাবাজি ছিনতাই সহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। কেউ এর প্রতিবাদ করলেই চলে অমানুষিক নির্যাতন।

২০২০ সালে কক্সবাজার থেকে তার বিরুদ্ধে (অর্থাৎ খালেকের বিরুদ্ধে) ইয়াবা ব্যাবসায় সম্পৃক্ত থাকায় কক্সবাজার থেকে একজন সাহসী কলম সৈনিক অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে। যার শিরোনাম ছিল ইলেকট্রিক মিস্ত্রী থেকে ইয়াবার ছোঁয়ায় কোটিপতি বেসিকের খালেক। যেটি ছিল তথ্যবহুল প্রতিবেদন। এর প্রতিবেদন তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। ঠিক এর দুইদিন পর তার নিয়ন্ত্রণে আগে থেকেই পূর্ব পরিকল্পিত করে রাখা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে লিংরোড এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় বেসিকের গহীন জঙ্গলে। এরপর চলে অমানুষিক নির্যাতন। তারপর তার আস্তানা থেকে ইয়াবা এনে জোরপূর্বক হাতে তুলে দিয়ে ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। তার নেতৃত্বে মাদকের মাসিক কমিশন নেয়া শ্রমিকলীগ নেতা জহির হত্যা মামলার অন্যতম আসামি খোকনও ছিল। এরপর ঐ সাংবাদিকের রক্ষাক্ত পরিহিত কাপড় চেঞ্জ করে দেয় খালেক ও খুনি মামলার আসামি খোকন। ঐ সময় সাংবাদিকের হাতে থাকা ৭০ হাজার টাকা দামের ক্যামরা ও দামি একটি মোবাইল সহ নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয় খালেক ও তার লালিত পালিত সন্ত্রাসীরা ‌। এরপর ঐ সাংবাদিক প্রাণ বাঁচাতে হাত পা ধরে আকুতি মিনতি করে চলে আসে। ঐসময় ধারণ করা ছবি কক্সবাজার তার ইয়াবা ব্যাবসা থেকে মাসোহারা নেওয়া কিছু সাংবাদিক নামধারী মাদক ব্যবসায়ীর মোবাইলে মোবাইলে দিয়ে দেয়। ঘটনার ঠিক দেড় বছর পর কক্সবাজার থেকে দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি মাদকের তকমা দিয়ে ঐ নির্যাতিত সাংবাদিকের ষড়যন্ত্র করে তুলা ছবিগুলো পেইজবুক পোস্ট করে।

এরপর ঐ ইয়াবা খালেখের সাথে সম্পৃক্ত থাকা ঐ সাংবাদিকের কুকর্মও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর দীপ্ত টিভির কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি অর্থাৎ ইয়াবা ব্যাবসায়ী খালেকের একান্ত বিশ্বস্ত ও মাসিক মাসোহারা নেওয়া সাংবাদিক ঐ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একটি ভূঁয়া তথ্য দিয়ে ফর্নোগ্রাফী আইনে মামলা দায়ের করে। যে মামলার কোন তদন্ত পর্যন্তও করেনি। ঐসময় থাকা কক্সবাজার সদর থানার অফিসার (ওসি) মুনিরুল গিয়াস কোন তদন্ত ছাড়া মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কেন করেন কী কারণে তদন্ত ছাড়া মামলা দায়ের করেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি এই (ওসি) মুনিরুল গিয়াস। পরিশেষে ঐ মামলায় সাড়ে চার মাস কারাভোগের পর একটি সিদ্ধান্ত উপনিত হয়। যেটি ইয়াবা ব্যাবসায়ী খালেকের একান্ত বিশ্বস্ত সহযোগী দীপ্ত টিভি জেলা প্রতিনিধির সাথে ও খালেক বাহিনীর হাতে নির্যাতিত সাংবাদিকের পরিবারের সাথে মৌখিক চুক্তি হয় । মামলা আপুষ দেওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তী মামলা আপোষ দেয়ার কথা বলে বাদী,বাদী পক্ষের আইনজীবী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর মাধ্যমে। যেটির অর্থ ছিল কয়েক লক্ষ টাকা। অবশেষে জামিনে বের হলেও কিন্তু ঐ সাংবাদিক এখনোও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মামলা শেষ করতে পারিনি । আরও কয়েক লক্ষ টাকা দাবী করে আসছে বারবার বাদী পক্ষ । অর্থলোভী এই কথিত সাংবাদিক নামধারী নানাভাবে হয়রানি করে আসছে প্রতিনিয়ত।

এদিকে ইয়াবা ব্যবসায়ী খালেকের মারধর করা জোর পূর্বক ছবি আর ভিডিও নিয়ে পুরো জেলাজুড়ে তুলকালাম সৃষ্টিকারীর মূল হুঁতা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকলেও গত ০৭ নভেম্বর ২০২৩ কক্সবাজার তারকা মানের হোটেল শৈবালের রেস্টুরেন্টে ইয়াবা ব্যাবসায়ী আব্দুল খালেকের একটি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানা গেল ঐ ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত ছিল। ঐ সংবাদ সম্মেলন ছিল স্থানীয় একজন ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে। যেটি নাকি ইয়াবা ব্যাবসায়ী খালেকের সম্পদ দখল বেদখল ও মারধর নিয়ে। এই সংবাদ সম্মেলনটি করিয়েছিল ঐ ইয়াবা খালেকের সাথে সম্পর্কিত দীপ্ত টিভির জেলা প্রতিনিধি । তার নিয়ন্ত্রণে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছিল। যেটির পুরো দায়িত্ব নিয়ছিল তার নিয়ন্ত্রণে। এরই মাঝে কক্সবাজার থেকে অনেক সাংবাদিক এখানে নিমন্ত্রণ হয়েছিল । এরপর থেকেই কক্সবাজার জুড়েই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। পরে অনেকেই ইয়াবা খালেকের বিষয়ে জানতে পেরে সংবাদ সম্মেলন বর্জনের নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন।  ইতিমধ্যেই খালেকের হুমকি স্বরূপ স্পষ্ট কল রেকর্ড সংরক্ষিত রয়েছে এই প্রতিবেদকের কাছে। ইয়াবা ব্যাবসায়ী খালেক ও তার ভাই নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ অর্ধ ডজনেরও অধিক মামলা রয়েছে। যার মধ্যে হত্যা গুম, মারামারি,চিন্তায়, ধর্ষণসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এর ভিতরে বেশ কয়েকটি মামলা নাম্বার এখানে তুলে ধরা হলো, ১৭৫/১৭ , ১৭৭৫/২০২৩, ১৮৬০/ ৭৯২,/৪৩/২১, ১৮৬০/ ২১২ সহ অসংখ্য মামলা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা খুরশিদা বেগম জানান, লোকমান হাকিমের দ্বিতীয় স্ত্রী গুলবাহার বেগমের ছেলে আব্দুল খালেক একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রী ছিল। তার নানি এবং মা দুজনেই পাড়া মহল্লায় ভিক্ষা করে ঘুরে বেড়াত। এবং খালেকের বাবা লোকমান হাকিম রিক্সা চালিয়ে কোনরকম দিনাতিপাত করত। হঠাৎ করে ইয়াবা ব্যবসা করে এলাকায় রামরাজত্ব কায়েম করে চলেছে। এখন খালেকের কোটি কোটি টাকা হয়েছে। খালেকের ভাই নুরুল ইসলামও কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। তাদেরকে মাঝে মাঝে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে অনেকবার তুলে নিয়ে যায় । আবার মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ছাড় পাই। স্থানীয় আরেক শীর্ষ ইয়াবা ব্যাবসায়ীও তার সবগুলো দেখবাল করে। নাম তার খোকন। আমরা এসব বলছি এমন শুনলেও আমাদের নিরাপত্তার ভয় আছে। খালেক এলাকার অনেক মা বোনদের ইজ্জত নষ্ট করেছে। কেউ ভয়ে মুখ খুলেনা। আবার টাকার বিনিময়ে স্থানীয় গরীব সুন্দরী নারীদের ব্যবহারও করে। এসব যেন আমি বলছি বলিয়েন না এমন কথা বলে ভয়ে আর কিছুর উত্তর পাওয়া যায়নি।

বেসিক এলাকার কাজল নামের একজন বলেন, ইয়াবা খালেক একসময় মানুষের কাছে ইলেকট্রিকের কাজ করে ৩ থেকে ৪ শ টাকা আয় করত। খুব কষ্টে জীবন যাপন করত। এখন টেকনাফ থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী পরিবারের মেয়ে বিয়ে করার পর থেকে ইয়াবা ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এবং সে কোন প্রকার অপরাধ করতে ভয় পান না। তার নিয়ন্ত্রণে সমস্ত প্রসাশন। তার কারণে এলাকার অনেক যুবক ধ্বংস হয়ে গেছে। ৩০/৪০ জন উঠতি বয়সের ছেলে আছে তার ইয়াবা পরিবহণ করে বিনিময়ে তারা বিপুল টাকা পায়। তার ক্যাডার বাহিনীর কেউ যদি কোন মামলা হয় তার টাকা দিয়ে তাদের জামিন করতে মিশনে নামে এই ইয়াবা খালেক । ফলে এলাকার ছেলেরা আর লেখাপড়া না করে এখন ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য প্রার্থী লিয়াকত আলী বলেন, খালেক একজন শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। মাদকের টাকায় খালেক এখন বেপরোয়া। প্রসাশন তার বিরুদ্ধে যদি কোন পদক্ষেপ না নেয় তাহলে এলাকায় হুমকি রয়েছে। প্রতিদিন রাতে কিংবা দিনে খালেকসহ তার একাধিক বাহিনীর যোগসাজশে চলে নানা অপরাধ। যদি কেউ বারণ করতে যায় তাহলে তার উপর নেমে আসে ভয়াল কাল রাতের অমানুষিক নির্যাতন। তার মায়ের পরিবার বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করে। ওখানে তারা ইয়াবা কারবার ও রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন অপরাধমূলক জঙ্গি সংগঠনের সদস্যের সাথেও জড়িত রয়েছে।  ইয়াবা খালেক ও তার ভাই নুরুল ইসলাম আবছার হত্যায় ও জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। এবিষয়ে আব্দুল খালেক-এর কাছে মুঠোফোনে যানতে চাইলে তিনি কোন সাংবাদিক চিনেনা বলে মুঠোফোন কেটে দেন। যেটির কল রেকর্ডও সংরক্ষিত। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রাকিবুজ জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ পেলে এবিষয়ে যতাযত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

প্রতিদিনের কাগজ

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |