মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৪ পূর্বাহ্ন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে সরকারী নজরুল কলেজের শিক্ষকের অপপ্রচার

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে সরকারী নজরুল কলেজের শিক্ষকের অপপ্রচার

 সামিরা খাতুন, নিজস্ব সংবাদদাতা : গত জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকারি নজরুল কলেজ ত্রিশালের কয়েকজন শিক্ষক বিএনপি জামায়াত এজেন্ডা হিসাবে প্রকাশ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে গুজব চালিয়ে‌ছিল। তারপর প্রভাষক মাসুদ রানা স্থানীয় নেতা-কর্মীদের তুপেরমুখে পড়ে। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব রেখা প্রকৃতপক্ষে বিএনপিও জামায়াত পন্থী শিক্ষকদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বলে একটি অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষে সুকৌশলে গুজব ও অপপ্রচার করেন ব‌লে এক‌টি অ‌ভি‌যোগ পাওয়া গে‌ছে। কলেজের প্রভাষক আজিজুর রহমান, প্রভাষক মাসুদ রানা, প্রভাষক রাকিবুল হাসানকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব রেখা বিভিন্ন সময় কমিটিতে রেখে সুকৌশলে কলেজের ব্যাপক দূর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

গত ২০ এপ্রিল শিক্ষা সচিব, মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তররে দুটি অভিযোগ জমা দেন একজন ব্যাক্তি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জয়নব রেখার নিরবতার কারণে কলেজটি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতিতে পরিণত হ‌চ্ছে। প্রভাষক মাসুদ রানা বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান (বাবর) এর দূর সম্পর্কের আত্মীয় সুবাদে তার সুপারিশক্রমে চাকুরী নেন। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবরের বাড়ী ও প্রভাষক মাসুদ রানার বাড়ি একই গ্রামে। প্রভাষক আজিজুর রহমান কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র থাকাকালীন ছাত্র শিবিরের নেতা নামে পরিচিত ছিল বলে জানাগেছে। প্রভাষক রকিুবল হাসান জামায়াতের একজন কর্মী হিসেবে পরিচিত, জাতির জনকের ছবি সংশ্লিষ্ট কলেজের কোন অনুষ্ঠানে তি‌নি অংশগ্রহণ কর‌তে চান না।

প্রভাষক মাসুদ রানাসহ কয়েকজন নিজের ফেসবুকে গত ১৪/০৮/২০২৩, ১৫/০৮/২০২৩, ২৩/০৮/২০২৩, ৩০/০৮/২০২৩ ইং তারিখ সামাজিক যোযাযোগ মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালান। এ বিষয়ে কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপক শিক্ষা সচিব বরাবরে অভিযোগ করেছিল। সে অ‌ভি‌যো‌গের প্রেক্ষি‌তে ‌শিক্ষামন্ত্রনাল‌য়ের নির্দেশে তদন্ত কা‌জের জন‌্য আঞ্চলিক প‌রিচাল‌কের কার্যালয় থে‌কে এক‌টি টিম ক‌লে‌জে আ‌সেন। তা‌দের নি‌র্দেশে ফেসবুকে অপপ্রচারের কারণে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের জন্য ক‌লে‌জে একটি প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

তারপর আ‌জিজুর রহমা‌নের নি‌র্দেশে যথাযথ কর্তৃপ‌ক্ষের অনুমতি ছাড়া সকলের মোবাইল ফোন জব্দ করেন। কি উ‌দ্দে‌শ্যে বা কেন মোবাইল দি‌তে হ‌বে এ ব‌্যাপা‌রে ক‌য়েকজন শিক্ষক অধ‌্যক্ষ‌কে প্রশ্ন কর‌লে তি‌নি জবা‌বে ব‌লেন তদন্ত কাজের জন‌্য প্রয়োজন। এ বিষ‌য়ে অ‌নেকে আপ‌ত্তি কর‌লেও অবশে‌ষে বাধ‌্য হ‌য়ে সকল শিক্ষক ও কর্মচা‌রি মোবাইল দি‌য়ে দেন। তারপর ক‌লে‌জের শিক্ষক-কর্মচা‌রি‌দের ম‌ধ্যে মোবাই‌লের ব‌্যক্তিগত ত‌থ্যের গোপনীয়তা নি‌য়ে সমালোচনা শুরু হয়। এ ব‌্যাপা‌রে একজন শিক্ষক লি‌খিত অ‌ভি‌যোগও ক‌রেন। ‌ এখন সক‌লের প্রশ্ন হ‌চ্ছে যথাযথ কর্তৃপ‌ক্ষের অনুম‌তি ছাড়া সরকা‌রের আইন অমান‌্য ক‌রে কিভা‌বে সক‌লের মোবাইল ফোন জব্দ করা হ‌লো?

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |