শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২১ পূর্বাহ্ন

আপডেট
সন্দ্বীপে কালের সাক্ষী কালাচাঁনের এসি ঘর

সন্দ্বীপে কালের সাক্ষী কালাচাঁনের এসি ঘর

 মোঃ হাসানুজ্জামান , সন্দ্বীপি: বর্তমানে দালান ও  টিনের অত্যাধুনিক ব্যবহারের ফলে খড় বা ছনের ছাউনির তৈরি ঘর বিলুপ্ত হচ্ছে। তবে সন্দ্বীপে  মাঝে মাঝে ২/১টি খড়ের ছাউনির ঘর দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আজ থেকে ২৫-৩০ বছর আগেও গ্রামের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতে ছনের বা খড়ের ছাউনির ঘর ছিল। গ্রাম-গঞ্জের প্রতিটি মানুষ খড় দিয়ে ঘরের ছাউনি দিত।গরমের দিনে ঠান্ডা আর শীতের দিনে গরম, তাই তারা এই ঘরকে এসি ঘর বলে। উচ্চবিত্তরা শখের বসে কখনও কখনও পাকা ঘরের চিলকোঠায় ছন বা খড় ব্যবহার করতো।

সরেজমিনে গেলে হারামিয়া ইউনিয়নের বক্তারহাট বাজারের কামার খড়ের ছাউনি ঘেরা  দোকানদার কালাচাঁন মজুমদার  বলেন, বছর ২৫ আগেও আমাদের বাড়ীর সবকয়টি ঘর খড় ছাউনির ছিল। আমার জানামতে আর কোন খড়ের দোকান নেই। আধুনিকতার ছোঁয়ায এখন সব দোকানঘর দালান বা টিনের হয়ে গেছে।  শীত ও গরমে উভয় দিনে ছন বা খড়ের ছাউনির ঘর বেশ আরামদায়ক। এছাড়াও বছর বছর খড় পরিবর্তন করতে হয়। এ কারণে অনেকে খড়ের ঘরকে ঝামেলা মনে করেন।একারণে খড়ের ছাউনির ঘরের সংখ্যা কমে গেছে।  তীব্র তাপদাহ শুরু হলে বা লোডশেডিং হলে মানুষ খড়ের ঘরের আরামদায়কের কথা রূপকথার মতো গল্প করে।এক সময় পুরোপুরি হয়ত মুছেও যাবে খড়ের ছাউনি ঘর। ভুলে যাবে গ্রাম বাংলার এসি ঘরের কথা !

মানুষের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নতির সাথে সাথে জীবন মানের ও উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।আর তাই হারিয়ে যেতে বসেছে বাঙালিদের চিরচেনা ঐতিহ্যবাহী এই চিহ্নটি। হয়তো সেই দিন আর বেশি দুরে নয়, খড়ের ছাউনির ঘরের কথা মানুষের মন থেকে চিরতরে হারিয়ে যাবে। আগামী প্রজম্ম রূপকথার গল্পে এই ঘরকে স্থান দিতে স্বাছন্দবোধ করবে। কালাচাঁনরা হয়ত কামার হিসেবে ধরে রাখবে গ্রাম -বাংলার এ খড়ের শিল্পকে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |