শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার উন্নতি, বন্ধ রয়েছে স্থলবন্দরের সকল বাণিজ্যিক কার্যক্রম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্যার উন্নতি, বন্ধ রয়েছে স্থলবন্দরের সকল বাণিজ্যিক কার্যক্রম

মমিনুল হক রুবেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া :  ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যার পানি কমতে থাকায় পরিস্থিতির আরও উন্নতি ঘটেছে। গত ১২ ঘণ্টায় আখাউড়ার হাওড়া নদীর পানি আরও ৪ সেন্টিমিটার কমে গিয়ে বর্তমানে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বন্যার পানিতে আখাউড়া ও কসবার বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও ব্রিজ,  বাধ ভেঙে যাওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দর সহ উপজেলার  কয়েকটি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার স্বার্থে এখনও বেশ কয়েকটি গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে গত বুধবার (২১ আগস্ট) রাতে আখাউড়ায় বন্যা শুরু হয়। এতে উপজেলার বঙ্গেরচর, কালিকাপুর, বাউতলা, আড়িয়ল ও খলাপাড়াসহ ৪০ টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়। পরদিন বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বন্যার পানি বেড়ে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটে। পরবর্তীতে ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা পানির বেগ কমায় এবং বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যার পানি কমতে থাকে। আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল থেকে পরিস্থিতির আরও  উন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যে এখন পর্যন্ত  বেশিরভাগ বাসা-বাড়ির ভিতর থেকে পানি সরে গেছে।তবে বন্যার কারণে আড়িয়ল ও খলাপাড়া এলাকায় হাওড়া নদীর দুইটি বাঁধসহ অন্তত ৮টি স্থানে সড়ক ধসে পড়েছে। ধসে যায় কয়েকটি ব্রিজ এতে করে এসব সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে পানি সরে গেলেও সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় এখনও বন্ধ রয়েছে আখাউড়া স্থলবন্দরের আমদানি – রপ্তানিসহ সকল বানিজ্যিক কার্যক্রম। পাশাপাশি আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়েও যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আহমেদ বলেন, “গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত আরও ৪ সেমি কমে বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে হাওড়া নদীর গঙ্গাসাগড় পয়েন্টে পানির সমতল রয়েছে ৫ দশমিক ৫৪ মিটার। ফলে বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে।
এব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি রুপালী বাংলাদেশকে বলেন, “আখাউড়ার বন্যা পরিস্থিতির ক্রমশ উন্নতি হচ্ছে। বাসা-বাড়ি থেকে পানি সরে যাচ্ছে। দ্রুত ভেঙে যাওয়া বাঁধ ও সড়ক এবং ব্রিজ মেরামত করে যান চলাচল ও স্থলবন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |