শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৭ পূর্বাহ্ন

আপডেট
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নৈসর্গিক দৃশ্যের বহিঃপ্রকাশ মিরসরাইয়ের ডোমখালী সমুদ্র সৈকত

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের নৈসর্গিক দৃশ্যের বহিঃপ্রকাশ মিরসরাইয়ের ডোমখালী সমুদ্র সৈকত

কামরুল হসান, মিরসরাই :  বাংলার মাটি প্রকৃতি পর্যটন স্থানগুলো অপরূপ নৈসর্গে ভরপুর। এখানে রয়েছে মন হরণকারী প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। ঠিক তাই ডোমখালী সমুদ্র সৈকত প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের সৃষ্টি। প্রকৃতির এক অনিন্দ্য রূপ, অফুরন্ত সবুজের মায়া আর উজাড় করে দেয়া প্রকৃতির নৈসর্গিক দৃশ্যের দেখা মিলে এই সমুদ্র সৈকতে। এত রূপ, নন্দন, সৌন্দর্য দেখে মনের ভেতরে অজান্তেই গেয়ে ওঠে, “হায়রে আমার মন মাতানো দেশ, হায়রে আমার সোনা ফলা মাটি। রূপ দেখে তোর কেন আমার নয়ন ভরে না, তোরে এত ভালোবাসি তবু পরান ভরে না। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার একেবারে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত এই পর্যটন স্পটটির নাম ডোমখালি সমুদ্র সৈকত। শিল্পনগরের কাজ শুরু করার মাধ্যমে মেরিন ড্রাইভের বাঁধ নির্মাণের কারণে বিশাল এলাকা জুড়ে এই সমুদ্র সৈকতের সৃষ্টি হয়েছে। যা কিনা বর্তমানে ডোমখালী বীচ নামেও সবার কাছে পরিচিত।

এই সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব মাত্র ৪ কিলোমিটার। এই সমুদ্র সৈকত এর স্থানটি আবিষ্কার করেছে উপজেলার সাহেরখালি ইউনিয়নের বেড়িবাধ এলাকার কিছু স্থানীয় ভ্রমণ পিপাসুরা। সাগরের পশ্চিম দিকের মোহনায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি সুইচগেট যা নিয়ন্ত্রণ করে সাগরের পানি। সমুদ্র সৈকতের অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে এখানে প্রতিদিন ভীড় করছেন শত শত পর্যটক। মিরসরাইয়ে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতটি দেখতে অনেকটাই চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের মত। সমুদ্র সৈকতের দক্ষিণের কোলজুড়ে ম্যানগ্রোভ বন অবস্থিত। সুইস গেট ঘেঁষে জেলেদের চলাচল। ভোর বেলার সূর্যের আলোয় ঝিলমিল করে সাগরের ঢেউ সমূহ আর বিকেলে রয়েছে মিষ্টি রোদ আর সূর্যাস্তের সৌন্দর্য মন কেড়ে নেওয়ার মতো।

কিভাবে যাবেন এই সৈকতে?
দেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়দারোগাহাট নেমে একটি সিএনজি নিয়ে একেবারে সাগর পাড়ে যাওয়া যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে এই সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার ভাড়া জনপ্রতি ৪০ টাকা। শুধুমাত্র এই পথে নয় বিকল্প নিজামপুর সরকারী কলেজের সামনে নেমেও সিএনজি করে ডোমখালী সমুদ্র সৈকতে যাওয়া যাবে।

কিভাবে থাকবেন এবং খাবেন কোথায়?

ডোমখালি সমুদ্র সৈকতে বর্তমানে এখনো থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা করে ওঠেনি। তবে সেখানে ছোটকমলদহ বাজারের বিখ্যাত ড্রাইভার হোটেল রয়েছে যেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। এই হোটেলটি ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে। আর সৈকত ভ্রমণে আসলে থাকার জন্যে পাশ্ববর্তী সীতাকুণ্ড বাজারের যেকোনো আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করে অনায়াসে রাত কাটানো কিংবা নিশ্চিন্তে থাকা যায়।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |