বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২৫ অপরাহ্ন

শখের পুরুষ আমাকে দুনিয়া ছাড়তে বাধ্য করছে

শখের পুরুষ আমাকে দুনিয়া ছাড়তে বাধ্য করছে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি: পটুয়াখালীতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে আফরোজা আক্তার খাদিজা (২৫) নামে এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আত্মহত্যা করার আগে তার ব্যবহৃত ভ্যানিটি ব্যাগে দাফনের জন্য ৪ হাজার ৭০০ টাকা রেখে গিয়েছেন। বুধবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে পটুয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাঠপট্টি এলাকার তালতলী রোডে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত খাদিজা পটুয়াখালী করিম মৃধা কলেজের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী।

দুপুর ১টায় খাদিজা তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রেমিকের কথা উল্লেখ করে স্ট্যাটাস দেন। পরে দুপুর ২টায় নিজ ঘরে পরনের ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তখন ঘরে তার বাবা, মা এবং ভাই কেউ ছিলেন না।

পরে আফরোজাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তার ছোট ভাই চিৎকার দিলে স্থানীয় রেডক্রিসেন্ট ভলান্টিয়ার ও প্রতিবেশীরা এসে তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আফরোজা ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন— ‘আমি তাকে ভালোবাসছিলাম। শুনছিলাম পুরুষ মানুষ ভালোবাসা পাইলে কিছু চায় না। তুমি আমাকে কীভাবে ছোট করলা? কীভাবে? আমি তোমার জন্য কি না করছি? কি না করছি তোমাকে ভালোবেসে? আজ আমাকে… বানাইলা। আমি কোন দিন কল্পনা করি নাই এই প্রতিদান তুমি দিবা! আমি তো সরে গেছিলাম। কেন আসছো আবার? আমার শখের পুরুষ আমাকে দুনিয়া ছাড়তে বাধ্য করছে। দোষ তার না, দোষ আমার। আমি তাকে ভালোবাসছি, আমার দোষ। আমি তাকে প্রাধান্য দিছি। ভালো থাকো, আমার ভালোবাসা। তোমার ভালো থাকার জন্য, এই আয়োজন। আমাকে মাফ করবা মা, আমি তোমার ভালো মেয়ে হইতে পারি নাই। আমার কাফন এর টাকা আমার ব্যাগে মা।’

এদিকে তরুণীর মৃত্যুতে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত খাদিজা আক্তারের সাথে অনেক বছর ধরে একটি ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে সেই ছেলে আফরোজার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় এবং যোগাযোগ করলেও ঝগড়াঝাঁটি করতো। এতে খাদিজা মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. ইমতিয়াজ বলেন, দুপুরে এমন একটা অপমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |