অনিক খান ঢাকা: যানজট নিরসনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক মিরপুর বিভাগ গাবতলী বাস টার্মিনালে ট্রাফিক সচেতনতা সভা করে। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাবতলী বাসটার্মিনাল অডিটোরিয়ামে বাস মালিক সমিতি ও ড্রাইভার সমিতির সদস্যদের নিয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তাতে যানজট নিরসনে সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের বিষয়ে আলোচনা হয়। মিরপুরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যানজট চিহ্নিত করে তা সমাধানের লক্ষ্যে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এর মধ্যে রয়েছে – বাস স্টপেজ ব্যতীত যেখানে সেখানে বাস না থামানো,নির্দিষ্ট স্টপেজে বাস থামানো এবং পার্কিং ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন। পর্যায়ক্রমে এসব সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। বাস ট্রাক অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাবু রমেশ চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খন্দকার মোঃ নাজমুল হাসান পি পিএম বার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার( ট্রাফিক) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ- পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক মিরপুর-বিভাগ) ঢাকা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন (চেয়ারম্যান,হানিফ এন্টারপ্রাইজ) তিনি বলেন, গাবতলী বাস টার্মিনালে কেউ চাঁদাবাজি করতে যেন না পারে সে বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পুলিশের সহায়তা নিয়ে কাজ করতে। তিনি ট্রাফিক বিভাগকে অনুরোধ করেন সর্বদা তাদেরকে সহায়তা করে দেশকে সুন্দর সুশৃংঙ্গল দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জনাব খন্দকার নাজমুল হাসান বলেন, ঢাকা একটি মেগা-সিটি। এর জনসংখ্যা প্রায় ২ কোটি ২৪ লক্ষ। যা অনেক দেশের মোট জনসংখ্যা চেয়ে বেশি। আমরা প্রযুক্তির দিক দিয়ে অনেক উন্নত। কিন্তু আমাদের মধ্যে ট্রাফিক সচেতনতার ঘাটতি রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সাথে প্রায় সকলেই জড়িত। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নির্ভর করে ট্রাফিক নিয়ম-নীতি মেনে চলার ওপর। এজন্য প্রয়োজন ঢাকা মহানগরীতে বসবাসকারী সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করা। খন্দকার নাজমুল হাসন আরও বলেন, সরকারি ইউনিফর্ম খোলার পর আমিও একজন সাধারণ যাত্রী আমি নিজেও গণপরিবহনে চলাচল করি, নিয়ম মান্য করা কে আমরা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা মনে করি সকলে সচেতন হয়ে এবং হর্ন প্রয়োজন ব্যতীত বাজানো থেকে বিরত থাকি।