নাজমুল হোসেন ,গোয়ালন্দ : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পৌর শহরের বাস স্ট্যান্ড এলাকায় শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যের দোকান। স্থানীয় বাজার থেকে এই দোকানে কম দামে সবজি বিক্রি করেন তাঁরা। কাঁচা মরিচ এই দোকানে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বাজারে ৩০০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। ঢ্যাঁড়স ৫০ টাকা বিক্রি করলেও বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকা।গোল বেগুন ৬৫ টাকায় বিক্রি করলেও বাজারে ১০০-১২০ টাকা কেজি। ফুলকপি ৭৫ টাকায় বিক্রি হলেও বাজারে ১০০ টাকা। লাউশাক ও মুলাশাক ৩৫ টাকা আঁটি বিক্রি হলেও বাজারে ৪০ থেকে ৫০ টাকা।লাউ প্রতি বীজ-৪৫ টাকা বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। পটল প্রতি কেজি ৬০ টাকা বাজারে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। করল্লা প্রতি কেজি ৪৫ টাকা বাজারে ৮০ টাকা। ধুন্দুল প্রতি কেজি ৩০ টাকা বাজারে ৬০ টাকা। পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা বাজারে ৬০ টাকা।
সান-সাইন কলেজিয়েট স্কুলের ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী ন্যায্যমূল্যে সবজি বিক্রির উদ্যোগটি নিয়েছেন। তাঁরা কৃষকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে পরিবহন খরচ যোগ করে বিক্রি করেও বাজারের চেয়ে ২০-৩০ টাকা কমে সবকিছু বিক্রি করা যাচ্ছে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান সরকার আসার পর সিন্ডিকেট এই সরকারকে বিতর্কিত করার জন্য মূল্য বৃদ্ধি করে দিয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এ জন্য শিক্ষার্থীরা মিলে কৃষক ও ভোক্তার সুবিধা করে দিতে উদ্যোগ নিয়েছি। গোয়ালন্দ সান-সাইন স্কুলের সহকারী শিক্ষক সংকর জানান, কৃষক ন্যায্যমূল্য পাবেন, ভোক্তাও কম দামে কিনতে পারবেন। বাজার যত দিন অস্থিতিশীল থাকবে, তত দিন আমাদের কার্যক্রম চলবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্যোগ ঘুরে দেখে সুশীল সমাজের লোকেরা বলেন, বর্তমানে বাজারে উচ্চমূল্যে শাকসবজি বিক্রি করে সিন্ডিকেট ও মধ্যস্বত্বভোগীরা এখান থেকে ফায়দা লুটছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্যমূল্যে সবজির বিক্রির উদ্যোগটির ফলে এটি নিরসন হবে অনেকটা। এ ধরনের উদ্যোগ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবে।