সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৩০ অপরাহ্ন
আশিকুর রহমান, গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গী বাজার খেয়াঘাটে জোরপূর্বক দরিদ্র মাঝিদের উচ্ছেদ, খেয়া পারাপারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, দোকান থেকে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত স্থানীয় প্রভাবশালী ও আওয়ামী লীগের নেতা টুটুল সরকারকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। গত শনিবার রাতে খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করে। রোববার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
জানা যায়, টুটুল সরকার খেয়া ঘাটের ইজারা নেওয়ার পর থেকে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে আসছিলেন। বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন ছাড়া খেয়া ঘাটের নাম পরিবর্তন করে সরকার বাড়ি ঘাট নামকরণ করে নিজের পৈতৃক ঘাট হিসেবে প্রচার করে আসছিলেন। তার ইজারাকালীন সময় ঐতিহ্যবাহী এই খেয়াঘাটের নৌকার মাঝিদের বিতারিত করে ইঞ্জিনচালিত বোট দিয়ে পারাপার শুরু করেন তিনি। এতে বেকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন অর্ধশতাধিক মাঝির পরিবার। এছাড়াও নিজ এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও দখল বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছিলেন তিনি।
খেয়া ঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া এবং অবৈধ ইজারার বিষয়ে প্রতিবাদ করলে তিনি স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিকে মারধর করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। তার এই অপকর্মের বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণের মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিশ্চিত করে যৌথবাহিনী।
টঙ্গী পূর্ব থানার ওসি কায়সার আহমদের বলেন, খেয়া ঘাট নিয়ে টুটুল সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। এর মাঝে নির্দিষ্ট করে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন আরিফুর রহমান খান নামের তার পূর্বপরিচিত একজন। ঘাটের ইজারার টাকা নিয়ে তাদের মাঝে দ্বন্দ্ব ছিল। আমরা এরই মধ্যে টুটুল সরকারকে আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছি।