শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন

কক্সবাজারে বিএনপি নেতা’কে তুলে নিতে ঘর ঘেরাও করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

কক্সবাজারে বিএনপি নেতা’কে তুলে নিতে ঘর ঘেরাও করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মনসুর আলম মুন্না, স্টাফ রিপোর্টার ( কক্সবাজার ): কক্সবাজার উখিয়া উপজেলার বালুখালীতে ঘর ঘেরাও রাতের আঁধারে তুলে নিতে যাওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। গত ২০ নভেম্বর ( বুধবার)  কক্সবাজার কলাতলিস্থ এক আভিজাত রেস্তোরাঁর হল রুমে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলে ভুক্তভোগী ফরিদুল আলম। ফরিদুল আলম উখিয়া উপজেলার পালংখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।  সংবাদ সম্মেলনে ফরিদুল আলম বলেন,  বিগত স্বৈরাচারের আমলে তাকে মাদক ব্যবসায়ী তকমা দিয়ে ৪ ধাপে তুলে নিয়ে গিয়ে ৫৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ তুলেছে প্রশাসনের বিরুদ্ধে।  এবং সেই সাথে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগও তুলেছেন ফরিদুল আলমের পরিবার।  দীর্ঘদিন স্থানীয় দালালদের মাধ্যমে তারা হয়রানি হয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভুগী ফরিদুল আলমের স্ত্রী।

তাদের দাবি তারা সাধারণত কুতুপালং বাজারে ব্যবসায়ী।  স্থানীয় কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বারবার হয়রানি করে নিঃস্ব করে ফেলার অভিযোগ। তারা বিগত স্বৈরাচারের দোসর এবং স্থানীয় চিহ্নিত মাদক কারবারি ও ইয়াবা ও হত্যাসহ বহু মামলার আসামি আলমগীর সিন্ডিকেটের রোষানলের শিকার হচ্ছেন। তারা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদেরকে বারবার হয়রানি করে ষড়যন্ত্রের শিকার করেছেন। তাদের এসব হয়রানির মাধ্যমে প্রশাসনের একটি গ্রুপকে চারবার তুলে নেয়ার মাধ্যমে ফরিদুল আলমের স্ত্রী নিজের স্ত্রী সন্তানের খুচরা জমানো টাকা’সহ দিয়ে স্বামীকে বাঁচাতে কবরস্থানে গিয়ে গভীর রাতে টাকা দেয়ার কথা বলেন সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে কান্না জড়িত কন্ঠে ফরিদুল আলমের স্ত্রী বলেন,  একজন স্ত্রী’র সর্বোচ্চ মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে তার স্বামী,  তাই আমার স্বামী’কে বাঁচাতে গভীর রাতে মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে ভিক্ষুকের মতো হাত বাড়িয়ে টাকা ধার নিয়ে স্বামীকে বাঁচানোর জন্য প্রশাসনকে দিয়ে স্বামীকে বাঁচিয়েছি। আমার স্বামী সন্তান নিয়ে বাঁচতে চাই। ফরিদুল আলমের স্ত্রীর একটাই দাবি। আমার স্বামীকে বারবার তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার প্রতিবাদে আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে দুঃখ দুর্দশার কথা  আপনাদেরকে তুলে ধরেছি।  আপনারা আমার পরিবারকে বাঁচান ।  আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি । বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারসহ সমস্ত প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।  পাশাপাশি এসব হয়রানি থেকে বাঁচতে সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে ফরিদুল আলমের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে আরোও বলেন,  গত ১৭ নভেম্বর আমার স্বামী বাড়িতে না থাকা অবস্থায় রাত আনুমানিক ১১ টা বাজে ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে বাসার দরজায় ধাক্কা দিকে থাকে, একপর্যায়ে দরজা খুলতেই হুট করে বাড়িতে ঢুকে পড়ে।  এরপর রাত আড়াইটা পর্যন্ত আমার পুরো ঘর তল্লাশি চালিয়ে তন্ন তন্ন করে সবকিছু এলোমেলো করে ফেলে।  এর পাশাপাশি আমার স্বামীকেও খুজতে থাকে। আমার স্বামীকে না পেয়ে দীর্ঘ তিন থেকে ৪ ঘন্টা পর চলে যায়। তারা আমার স্বামী ফরিদুল আলমকে তুলে নিতে এসেছিল। তারা আমার স্বামীকে না পেয়ে এবং মিথ্যা তকমা দিয়ে মাদক আছে বলে ঘরে তল্লাশি চালায়। কিন্তু কোনকিছু পাওয়া যায়নি। তবে এসব হয়রানির মূল মাস্টার মাইন্ড হচ্ছে স্থানীয় শীর্ষ সন্ত্রাস ও ইয়াবাকারবারি মাদক ও হত্যাসহ বহু মামলার আসামি আলমগীর ও তার ভাই সৈয়দনুর।  তারা প্রশাসনের সোর্স হিসেবে কাজ করে এলাকায় হয়রানি করে আসছে। আমরা এসবের প্রতিবাদের কারণেই আজকের এই সংবাদ সম্মেলন। আমাদের রক্ষা করা সমস্ত প্রশাসনের।  আমরা মিথ্যা হয়রানি থেকে বাঁচতে চাই।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |