বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২০ পূর্বাহ্ন

প্রায় বিলীনের পথে মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য

প্রায় বিলীনের পথে মৃৎশিল্পের ঐতিহ্য

আলিফ হাসান, বেড়া (পাবনা): দিন বদল ও আধুনিকতার আশীর্বাদে হারিয়ে যেতে বসেছে পালপাড়ার সেই রমরমা অবস্থা। এক সময় মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, থালা-বাসন, ঘটি, মটকা, সরা, কাসা, কলস, ব্যাংক, প্রদীপ, পুতুল, কলকি ও ঝাঝরের বিকল্প ছিল না। তবে আধুনিকতার ছোঁয়া আর মানুষের রুচির পরিবর্তনে মাটির তৈরি সামগ্রীর স্থান দখল করে নিয়েছে প্লাস্টিক, মেলামাইন, স্টিল আর অ্যালুমিনিয়ামের নানা সামগ্রী। তাই বাজারে চাহিদা কম এবং কাঁচামালের চড়া মূল্য আর পুঁজির অভাবে টিকতে না পারায় সংকটে পড়েছে পাবনার ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্পীরা। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বাঁচতে পারে এ শিল্প।
মৃৎশিল্পীরা জানান, ব্যবহারিক জীবনে এখন মৃৎশিল্পের তেমন আর ভূমিকা নেই। এ শিল্পে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সাধিত না হওয়ায় বর্তমানে এই পেশায় টিকে থাকা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া ইউনিয়নের আয়েনখার ডোপ  পালপাড়ায় গেলে দেখা যায়, ভোরের আলো ফুটতেই মাটির হাঁড়ি-পাতিল তৈরি করে রোদে শুকাতে দিচ্ছে কুমাররা, কেউ বা ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভিন্ন সামগ্রী তৈরিতে, কেউ বা করছেন রং এভাবেই সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত চলছে তাদের কর্মব্যস্ততা।দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এ কাজ করি। আগে মাটির সামগ্রীর প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন আর তেমন নেই। শীত মৌসুমে পিঠাপুলির সামগ্রী তৈরি করেই কোনোমতে চলে সংসার।কাঁচামাটির পাত্র পুড়িয়ে পরিণত করতে ব্যস্ত দুলাল পাল। এ ব্যস্ততার ফাঁকে তিনি বলেন, প্রায় ৪০ বছর ধরে বাপ-দাদার শেখানো পেশায় কাজ করছি। আগের দিনে বাজারে মৃৎপাত্রের প্রচুর চাহিদা থাকলেও এখন অনেকটাই কম। অন্য কাজ জানা নেই তাই এ পেশাই আঁকড়ে ধরে আছি।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |