শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২০ পূর্বাহ্ন
রেজাউল করিম রেজা,ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ থানার তাছলিমা খাতুন (৩০), পিতা- মৃত আঃ জব্বার, সাং- কুমারুলী, থানা- ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা- ময়মনসিংহ। জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর-৮৬৯৫৪৯৮৬০৩ এর সিরাজগঞ্জ জেলার নিবাসী মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সাথে পারিবারিক বিবাহ হয় ২০০৬ সালে । বিবাহের পর তাহাদের দাম্পত্য জীবনে ০৩ ছেলের জন্ম হয়। তাছলিমা খাতুন (৩০) এর স্বামী ঢাকায় একটি গার্মেন্টেস চাকুরী করাকালে দ্বিতীয় বিবাহ করে মর্মে লোকমুখে শুনতে পাইয়া তাছলিমা খাতুন (৩০) মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে।
পরে তাছলিমা খাতুন (৩০) বিষয়টি পরিবারসহ বিভিন্ন লোকজনের সাথে আলোচনাকালে ভন্ডপীর মাছুম (৪৫), পিতা-মৃত জব্বর মুন্সী, সাং-অরন্যপাশা, থানা- নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ এর সাথে পরিচয় হয়।পরিচকালে সে তাছলিমা খাতুনকে আশ্বাস প্রদান করে যে, তাহার স্বামীকে তাহার নিকট আনিয়া দিতে পারবে এবং তাহার সাথে ঘর সংসার করবে। ভন্ডপীর মাছুম (৪৫) এর কথায় বিশ্বাস করিয়া তাছলিমা খাতুন তাহার স্বামীকে ফেরত পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে পড়ে। এই সুযোগ ভন্ড কবিরাজ মাছুম জানায় তাহার নিকট বেশি স্বর্ণালংকার উপস্থাপন করতে পারলে তাহার স্বামীকে দ্রুত তাহার নিকট আনার ব্যবস্থা করতে পারবে।
তাছলিমা খাতুন ভন্ডপীর মাছুম এর কথায় বিশ্বাস করিয়া ০৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দূল ও একটি স্বর্ণের চেইন যাহার মোট ওজন ১ভরি মোট বাজার মূল্য ৯০,০০০/-টাকা এবং নগদ ১,০০,০০০/- টাকা দেয়। ভিকটিম তাছলিমা খাতুন এর নিকট ভন্ডপীর মাছুম (৪৫) ০৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দূল ও একটি স্বর্ণের চেইন যাহার মোট ওজন ১ভরি মোট বাজার মূল্য ৯০,০০০/-টাকা এবং নগদ ১,০০,০০০/- টাকা লাপাত্তা হইয়া যায়। এরূপ সংবাদ পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ মহোদয়ের নিকট আসিলে পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ এর নির্দেশে অফিসার-ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ জনাব মোঃ ফারুক হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) রূপন
কুমার সরকার সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করিয়া ইং ২৮/০৫/২০২৪ তারিখ ঈশ্বরগঞ্জ থানাধীন সোহাগী বাজার এলাকা হইতে ভন্ডপীর মাছুম (৪৫), পিতা-মৃত জব্বর মুন্সী, সাং-অরন্যপাশা, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করে।উক্ত ঘটনার বিষয়ে তাছলিমা খাতুন বাদী হয়ে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করিলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-২৮/০৫/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৪০৬/৪১৯/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।