শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২২ অপরাহ্ন

সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যক্তির দখলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

সাবেক প্রতিমন্ত্রীর আস্থাভাজন ব্যক্তির দখলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান!

রেজাউল করিম রেজা, ময়মনসিংহ:  আব্দুল বাতেন খান অধ্যক্ষ বওলা ডিগ্রী কলেজ। আব্দুল বাতেন খান তার মামাত ভাই সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের প্রভাব কাটিয়ে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিষ্ঠানের যতগুলো নিয়োগ দিয়েছেন এর মধ্যে পিয়ন, নাইট গার্ড লাইব্রেরিয়ান কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারি, সহকারী প্রধান শিক্ষক শালিয়া স্কুল এবং অধ্যক্ষ কাইচাপুর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসা, প্রত্যেকের কাছ থেকে সর্বনিম্ন ৭ লক্ষ টাকা থেকে ৩২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন। যা একান্তই নিজে গ্রহণ করে। তার রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানকে তার পারিবারিক কার্যালয় হিসাবে ব্যবহার করেছে।

একক ক্ষমতা বলে নিজের শালিকা, ভাতিজা, ভাতিজার ওয়াইফ সহ কাছের আত্মীয়-স্বজনকে চাকরি দিয়েছেন। যে সকল প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ছিলেন সেই সকল প্রতিষ্ঠানের সরকারি সম্পত্তি রাজনৈতিক ক্ষমতা বলে নিজ এবং নিজের পরিবারের প্রয়োজনে বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন। একি পদের বিনিময়ে একের অধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা গ্রহণ করেন। পরবর্তী সময়ে চাকুরী প্রত্যাশীরা চাকুরী না পেয়ে টাকা চাইতে গেলে সে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে টাকা না দিয়ে তাদেরকে থামিয়ে দেয়। এবং ভুক্তভোগী যারা টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে রাজনৈতিক প্রভাবে তাদেরকে দমিয়ে রাখে। ফুলপুর থানার বালিয়া ইউনিয়নের উপদেষ্টামন্ডলির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল বাতেন খান।

নিজের ক্ষমতা বলে আব্দুল বাতেন খানের ওয়াইফ কে শালিয়া হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসী বেগমকে শালিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নিয়োগ দেয় এটাও তার মামাতো ভাই । গ্রামে শিক্ষিত এবং সম্মানিত ব্যক্তিবর্গ ছিল তাদেরকে অসম্মানিত করে জোরপূর্বক তার ওয়াইফকে সভাপতি করে। ময়মনসিংহ শহরে চার শিক্ষকের ফ্লাট কেনাবেচা কেলেঙ্কারি এবং জোরপূর্বক জমি দখলকারির তিনিও অন্যতম একজন। ইব্রাহিম টাওয়ারের শেয়ার ছিল, আরো বেশ ফ্লেটের শেয়ার ছিল তিনি। নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি এবং তার বাসা আকুয়া ইউনিটি টাওয়ার ময়মনসিংহ শহরে চার শিক্ষকের ফ্লাট কেনাবেচা কেলেঙ্কারি এবং জোরপূর্বক জমি দখলকারির তিনিও অন্যতম একজন বলে জানাগেছে।

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |