বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩১ অপরাহ্ন
জাহাঙ্গীর আলম তপু :
গুলিস্তানে টুকরিতে করে জুতা বিক্রির ফেরিওয়ালা ছিলেন। এক পর্যায়ে ওপর মহলের আশীর্বাদ লাভ করে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি ও মেয়রের পদ বাগিয়ে নেন দুই সহোদর আফজাল হোসেন ও আশরাফ হোসেন। দেশ-বিদেশে বিলাসবহুল গাড়ি-বাড়ির মালিক দুই সহোদর অবশেষে সাভারে ‘ফেমাস সুজ লিমিটেড’ নামে আন্তর্জাতিক মানের একটি জুতার বিশাল কারখানাও স্থাপন করেন। চলতি বছরের ১৭ মে ওই জুতার কারখানাটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাতারাতি এমন অঢেল সহায়-সম্পদ ও বিত্তবৈভবের মালিক বনে যাওয়ায় নজর পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। এ দুজনের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে পিছু নিয়ে দুদক এরইমধ্যে মামলাও করেছে।
কিন্তু প্রচণ্ড ক্ষমতার কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন ও তার ছোট ভাই বাজিতপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের বিরুদ্ধে মুখ খোলার সাহস ছিল না নির্যাতন-অত্যাচার ও ভূমিদস্যুতার শিকার লোকদেরও।
কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর অঢেল সম্পদ ফেলে আত্মগোপনে চলে যান আফজাল হোসেন ও আশরাফ হোসেন। যাদের নির্দেশ ছাড়া পুলিশ প্রশাসন এমনকি গাছের পাতাও নড়তো না-সেই দুই সহোদরের নিষ্ঠুর নিপীড়ন -নির্যাতন ও ভূমিদস্যুতার ভুক্তভোগী লোকজন প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে উঠেছে। একে একে বেরিয়ে আসছে তাদের ভয়ংকর সব অপরাধ ও দখলদারত্বের অবিশ্বাস্য সব ঘটনা। চান্দিনা এলাকার টেলিভিশন মেকানিক গৌরাঙ্গ সরকার। যার দোকান ভিটা দখল করেছেন সাবেক এমপি আফজাল হোসেন। তিনি জানান, বাজারে তার দুটি দোকানের ভিটা ছিল। ওই জমি সাবেক এমপি আফজাল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দিয়ে জোরপূর্বক দলিল করে নিয়েছেন। সেসময় তার হাতে মাত্র ৪ লাখ টাকা ধরিয়ে দেন। অথচ তখনই ওই ভিটার দাম লোকজন ৮০ লাখ টাকা হাঁকলেও বিক্রিতে রাজি হননি গৌরাঙ্গ।
কথা হয় সাবেক এমপি আফজালের ছোট ভাই সাবেক পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক নির্যাতনের শিকার উপজেলার পূর্ব ভাগলপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বিল্লাল মিয়ার সঙ্গে। তিনি প্রতিদিনের কাগজকে জানান, পৈতৃক আমল থেকে ভোগদখল করা বাড়ির কিছু জমি ভুলক্রমে পাশের বাড়ির এক নারীর নামে মাঠ পর্চা হয়। এটি সংশোধনের জন্য মামলাও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তদানীন্তন পৌর মেয়রের দৃষ্টি পড়ে তার মূল্যবান ওই জমির ওপর। ওই নারীর কাছ থেকে পাওয়ার নিয়ে সন্ত্রাসী লাঠিয়াল বাহিনীর লোকজন নিয়ে দখল করতে আসেন পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফ। তিনি বাধা দিতে গেলে তার ওপর নেমে আসে মধ্যযুগীয় নির্যাতন। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মৃত ভেবে রাস্তার ওপর ফেলে রাখে তারা। এ ঘটনায় তিনি দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত ইউপি নির্বাচনে বাজিতপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১০ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করান এমপি আফজাল হোসেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ১০ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে আফজালের এক শ্যালক ও দুই ভাগনেও রয়েছেন। বাকি আটজনও এমপি আফজালের ‘পকেটের’ প্রার্থী ছিলেন বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর আফজাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন আশরাফের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর থানা ও বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। স্থানীয় মনির হোসেন জানান, তিনি নিজের চোখে ঢাকার গুলিস্তান মোড়ে আফজাল হোসেনকে টুকরিতে করে জুতা ফেরি করে বিক্রি করতে দেখেছেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগের টিকিটে আফজাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন আশরাফ এমপি ও পৌর মেয়র হওয়ার পর থেকে আলাদীনের চেরাগ পেয়ে যান। রাতারাতি অঢেল সহায় সম্পদ ও বিত্তবৈভবের মালিক বনে যান। বর্তমানে তাদের অস্ট্রেলিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, ঢাকা ও বাজিতপুরে প্রাসাদের মতো বাড়ি রয়েছে। রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাজিতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল বলেন, আফজাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন আশরাফের অনিয়ম-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাহিনি বলতে গেলে হাজার রজনী পার হবে। হেন কাজ নেই যা তারা করেননি। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান শেষে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. জাভেদ হোসেন বাজিতপুর পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আশরাফের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এর আগে একই কারণে ২০২১ সালে আফজাল হোসেন এমপির জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধানে নামে দুদক। তার বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাবেক এমপি আফজাল হোসেন সক্রিয় রাজনীতিতে এসে অর্থ-সম্পদের মায়াজালে জড়িয়ে পড়েন। এক সময়ের মুসলিম লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র দুর্গ হিসেবে পরিচিত কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসন থেকে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়নে অনেকটা তাক লাগিয়ে প্রথমবারের মতো বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ এর একাদশ ও ২০২৪ সালে দ্বাদশ বিতর্কিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখেন আফজাল হোসেন। বিগত ১৬ বছরে অর্থ-সম্পদে ফুলেফেঁপে উঠেছেন সংসদ সদস্য মো. আফজাল হোসেন।
২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামা ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামার তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। রাজধানীর ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে আফজাল সুজ লিমিটেড এবং সাভারে ফেমাস সুজ লিমিটেড নামে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। ২০০৮ সালের হলফনামায় মো. আফজাল হোসেন এমপি’র একমাত্র আয়ের উৎস ছিল ব্যবসা। এ খাত থেকে তার আয় ছিল ১২ লাখ টাকা। এছাড়া তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ছিল আড়াই লাখ টাকা। তবে, ১৫ বছর পর তার আয়-ব্যয়ের হিসাবে ব্যবসা ছাড়াও যুক্ত হয়েছে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট ও দোকান ভাড়া এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আফজাল সুজ লিমিটেড থেকে ও সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানি ভাতা। এসব খাত থেকে তার আসে ৫১ লাখ ৮ হাজার ২৭৫ টাকা। এরমধ্যে তার বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান ভাড়া থেকেই ২০ লাখ ১৯ হাজার টাকা আয় আসে। ব্যবসা থেকেই আয় হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। আফজাল সুজ লিমিটেড থেকে তিনি সম্মানিভাতা পান ১৮ লাখ টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে সম্মানি পান ২৩ লাখ ২১ হাজার ২৭৫ টাকা। ২০০৮ সালে মো. আফজাল হোসেন এমপি’র নিজের নামে মাত্র নগদ ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬০ টাকা ছিল। এখন তার নগদ টাকার পরিমাণ চার কোটি ৬৪ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ টাকা। ২০০৮ সালে মো. আফজাল হোসেনের স্ত্রীর নগদ ছিল ৯ লাখ ৩৪ হাজার ৪শ’ টাকা।
এখন তার স্ত্রীর নামে নগদ রয়েছে এক কোটি ৪০ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৬ টাকা। ২০০৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মো. আফজাল হোসেনের জমার পরিমাণ ছিল ছয় লাখ ১০ হাজার টাকা। এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মো. আফজাল হোসেনের নিজের নামে ৬২ লাখ ২৭৩ টাকা জমা রয়েছে। ২০০৮ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে মো. আফজাল হোসেনের স্ত্রীর নামে জমা করা টাকার পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৫০ হাজার। ২০২৩ সালে এসে তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ৬৯৯.৫ শতাংশ কৃষিজমি ও ৬৪.৯৫ শতাংশ অকৃষি জমি এবং স্ত্রীর নামে ৯৮ শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে। তার নিজের নামে ২৪টি দোকান ও একটি মার্কেট এবং স্ত্রীর নামে ১৭টি দোকান রয়েছে। বাজিতপুরে তার গ্রামে একটি বাড়ি, দুটি ফ্ল্যাট এবং রাজধানীর আগামসি লেনে পাঁচতলা একটি বাড়ি, বনশ্রীতে ছয়তলা একটি বাড়ি ও বংশালে একটি পুরাতন বাড়ি রয়েছে।
তার স্ত্রীর নামেও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০০৮ সালে আফজাল হোসেনের ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪৫ টাকা ব্যাংক ঋণ থাকলেও এখন তার কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। এখন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্ত্রীর নামে ২ লাখ ২ হাজার ৫৪৬ টাকা জমা রয়েছে। ২০০৮ সালে আফজাল হোসেনের নিজের নামে মোট এক লাখ টাকার বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার থাকলেও এখন তার নিজের নামে আফজাল সুজ লিমিটেড, এনেঙ্গো লিমিটেড, ফেমাস সুজ লিমিটেড, এসিএমই পেসটিসাইড লিমিটেড ও বিভিন্ন কোম্পানির মোট ৩ কোটি ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৮৯৮ টাকার শেয়ার এবং স্ত্রীর নামে ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৬ টাকার শেয়ার রয়েছে। ২০০৮ সালে পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ হিসেবে আফজাল হোসেনের নিজের নামে ৮ লাখ টাকা থাকলেও এখন নিজের নামে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯২২ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৮৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তবে মো. আফজাল হোসেনের নিজের নামে তিন লাখ টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৩০ হাজার টাকার সোনা ও অন্যান্য অলঙ্কার ২০০৮ সালে যেমন ছিল এখনও তেমনই রয়েছে। বর্তমানে ব্যবসা মূলধন হিসেবে আফজাল হোসেনের নিজের নামে ৫৮ লাখ ৩০ হাজার ও স্ত্রীর নামে এক কোটি ৭৭ লাখ ২ হাজার ২৫০ টাকা রয়েছে। ২০০৮ সালে কেবল আফজাল হোসেনের নিজের নামে ৭৩ লাখ ৪৯ হাজার ৭৩২ টাকা ব্যবসা পুঁজি ছিল। আফজাল হোসেনের স্থাবর সম্পদের মধ্যে ২০০৮ সালে ৪ একর কৃষিজমি, যৌথ মালিকানায় ২ একর কৃষিজমি, ৫ কাঠা অকৃষি জমি, ১২টি দোকান ও ৫তলা একটি বাড়ি এবং স্ত্রীর নামে পাঁচটি দোকান ও দুটি অ্যাপার্টমেন্ট ছিল।
২০২৩ সালে এসে তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে নিজের নামে ৬৯৯.৫ শতাংশ কৃষিজমি ও ৬৪.৯৫ শতাংশ অকৃষি জমি এবং স্ত্রীর নামে ৯৮ শতাংশ অকৃষি জমি রয়েছে। তার নিজের নামে ২৪টি দোকান ও একটি মার্কেট এবং স্ত্রীর নামে ১৭টি দোকান রয়েছে। বাজিতপুরে তার গ্রামে একটি বাড়ি, দুটি ফ্ল্যাট এবং রাজধানীর আগামসি লেনে পাঁচতলা একটি বাড়ি, বনশ্রীতে ছয়তলা একটি বাড়ি ও বংশালে একটি পুরাতন বাড়ি রয়েছে। তার স্ত্রীর নামেও দুটি ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০০৮ সালে মো. আফজাল হোসেনের ১০ লাখ ৯৪ হাজার ৪৪৫ টাকা ব্যাংক ঋণ থাকলেও এখন তার কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। তবে আফজাল হোসেন দোকানের অগ্রিম হিসেবে ৫৩ লাখ টাকা দায় হিসেবে দেখিয়েছেন হলফনামায়। ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আফজাল বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাজিতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
এর আগে ২০১২ সালের জুন থেকে তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। এছাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে গত ইউপি নির্বাচনে বাজিতপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১০ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করান এমপি আফজাল হোসেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার ১০ জন চেয়ারম্যানের মধ্যে আফজালের এক শ্যালক ও দুই ভাগনেও রয়েছেন। বাকি আটজনও এমপি আফজালের ‘পকেটের’ প্রার্থী ছিলেন বলে এলাকায় প্রচার রয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর আফজাল হোসেন ও আনোয়ার হোসেন আশরাফের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ সদর থানা ও বাজিতপুর থানায় হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা হয়েছে। এসব বিষয়ে কথা বলতে সাবেক এমপি আফজাল হোসেন ও তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মোবাইলে কল দিলেও বন্ধ পাওয়া যায়।